সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাঙ্গালি হিন্দুর হোমল্যান্ডের চাবি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে এন আর সি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরই বিভিন্ন সময়ে জলপাইগুড়ি, মালদা, গাজল শহরেও অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এই পাঁচটি সভাকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ ও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এই প্রতিবেদক ও রন্তিদেব সেনগুপ্ত বক্তা হিসেবে এই পাঁচটি সভাতেই উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকটি আলোচনা সভার শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেই প্রশ্নোত্তর পর্ব যেন এখনো শেষ হয়নি, প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন নাগরিক কার্যক্রমে তো বটেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (সিএবি) এবং এন আর সি নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষের কাছ থেকে যে সমস্ত প্রশ্ন আসছে সেগুলি থেকে বাছাই করা কিছু প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নোত্তরে সিএবি তুলে ধরার প্রয়াস করা হলো। কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কিনাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৬ এবং এনআরসি চালুর কথা বলে দেশ জুড়ে একটি অস্থিরতা তৈরি করল না? বিশেষ করে দেশভাগের পর ভারতে এসে বছরের পর বছর ধরে নিশ্চিন্তে বসবাসকারী হিন্দুদের নতুন করে উদ্বাস্তুর তকমা দিয়ে বিপদে ফেলে দিল না? উত্তর : দেশভাগের পর লক...

নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নাগরিকত্ব আইনকে রদ করা যাবে না

সরকারি অর্থে বিজ্ঞাপন দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার করছেন তিনি পশ্চিমবঙ্গে এন আর সি ও নাগরিকত্ব আইন লাগু হতে দেবেন না। মেঠো রাজনীতিতে তিনি এরকম হুঙ্কার ছাড়তেই পারেন। কারণ রাজনীতির ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা খুশি তাই বলার পরিবেশ তৈরি করে নিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ ব্যাপারে সংবিধান কী বলছে? সংবিধান নাগরিকত্ব, প্রতিরক্ষা এই সমস্ত ব্যাপারে কোনোরকম সিদ্ধান্ত ও তা কার্যকর করার অধিকার একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারকেই দিয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের নির্দেশ রাজ্য সরকার লাগু করতে বাধ্য। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও অষ্টম লোকসভার সেক্রেটারি সুভাষ কাশ্যপের মতে সংবিধানের ১১ নম্বর ধারায় স্পষ্ট করে বলা রয়েছে যে নাগরিকত্ব ও এই সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় সংসদের এক্তিয়ারে পড়ে। আইন তৈরি করতে পারে একমাত্র সংসদ। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনো ক্ষমতাই নেই। আইন তৈরি হয়ে গেলে সেই আইন না মানার কোনো অধিকারই নেই রাজ্যের। নাগরিকত্ব আইন লাগু করতেই হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সংসদে পাশ হওয়া এই আইন বলবৎ করার অধিকার একমাত্র কেন্দ্রের। রাজ্যসরকার এই আইন লাগু করতে অস্বীকার করলে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। লোকসভা ও দি...

' ক্যাব' নিয়ে মানবতার শত্রুদের সাথে এক লাইনে বিরোধীরা

                                                 সাধন কুমার পাল:- বিজেপি বিরোধীতা করতে গিয়ে তথা কথিত ধর্মনিরপেক্ষ দল গুলি কে কখনো ভারতের শত্রু পাকিস্থান আবার কখনো জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকরে টুকরে গ্যাং এর পাশে দাড়াতেও দেখা গেছে।এবার তো বিজেপি বিরোধীতার নামে ক্যাবের বিরোধীতা করতে গিয়ে এই দলগুলি কে সরাসরি মানবতা বিরোধী অবস্থান নিতে হচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ( ক্যাব ) মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদান করে দেশভাগের সময় বিশ্বের বৃহত্তম এবং জঘন্যতম গণহত্যার শিকার ছিন্নমূল হিন্দুদের ক্ষতে সামন্যতম প্রলেপ দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার যখন বিগত সাত দশক ধরে চলে আসা মানবিকতার প্রতি এক ঘোরতর অন্যায় অবিচারের অবসান করতে উদ্যোগী হয়েছে সে সময় সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে তুচ্ছ বিরোধী রাজনীতির নামে রুখে দাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস , কংগ্রেস , সিপিএমের মতো বিভিন্ন দল। মানবিক চেতনা সম্পন্ন ভারতীয় ভোটাররা ভোটের বাক্সে এই দল গুলিকে যোগ্য জব...