সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিশ্বকর্মা পুজোতেই রাষ্ট্রীয় শ্রমিক দিবস কেন?

সাধন কুমার পাল ::ভারতে শ্রম দিবস হিসাবে পালিত মে দিবস কি তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে? নতুন ভারত গড়ে তুলতে শ্রমিকদের অবদানকে সম্মান জানাতে ভারত কি আনুষ্ঠানিকভাবে '১ মে' পরিবর্তে 'বিশ্বকর্মা দিবস'  পালন করবে? এই ধরনের প্রশ্নগুলি এখন প্রতি বছর ১ মে ক্রমবর্ধমানভাবে উত্থাপিত হচ্ছে কারণ ভারতের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন, ভারতীয় মজদুর সংঘ (বিএমএস), ১ মে শ্রমিক দিবস হিসাবে উদযাপন করছে না। হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছে পয়লা মে নয় শ্রমিক দিবস পালন হবে বিশ্বকর্মা পূজোর দিন। অনেক রাজ্য সরকার সেই পথেই হাটছে। এর দুটো কারণ হতে পারে । এক) মে দিবস ঐতিহাসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই।অর্থাৎ বিশ্ব জুড়ে কমিউনিষ্টদের প্রভাব যতই কমছে ততই বেআব্রু হচ্ছে মে দিবসে ইতিহাসের নামে কমরেডদের সাজানো গল্প। ( এখানে পড়ুন:: মে দিবসের ঐতিহাসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ) দুই)'দুনিয়ার শ্রমিক এক হও' শ্লোগান প্রাসঙ্গিকতা হারানোর পর মে দিবস পালনের এক মাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন সেই সুদুর অতীতে ভারতের ট্রেড ইউনিয়নে গুলিতে কমিউনিস্টরা যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল একমাত্র সেই স...

পহেলা বৈশাখে বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বাকে হাইজ্যাক করার অপপ্রয়াস

সাধন কুমার পাল:::: বাংলা ভাষার আরবীকরণ থেকে শুরু করে, আকবরকে বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতার স্বীকৃতি দেওয়া, খন্ডিত পূর্ববঙ্গকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ, ‘হাজার বছরের বাঙালি’ তত্ত্ব, সনাতন ঐতিহ্য বর্জিত নতুন বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রণয়ন এই সবই বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বাকে হাইজ্যাক করার এক একটি মাইলফলক। এই প্রচেষ্টার সাফল্যের জোরেই আজ পশ্চিমবঙ্গে বাঙ্গালীদের বিশ্বাস করানোর প্রয়াস হচ্ছে আকবরই বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা।এক দশক আগেও কিন্তু এমনটা শোনা যেত না। ২০০৫-এ প্রকাশিত ‘দ্য আগুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান’ বইতে স্বয়ং অমর্ত্য সেন এই দাবীটি করেন। এরপর বিভিন্ন বক্তৃতায় তিনি এইটি বলতে শুরু করেন। ক্রমে এটি চালু হয়ে যায়। গুগুল কে প্রশ্ন করলেও উত্তর আসবে ‘বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা আকবর’।            আকবরপন্থীদের বক্তব্য , খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে আকবর তারিখ-ই-ইলাহী নামে একটি সৌর বর্ষপঞ্জী চালু করেন। কিন্তু তার ভিত্তিবর্ষ ছিল ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ, আকবরের শাসনকালের প্রথম বছর। অর্থাৎ তারিখ-ই-ইলাহী শুরুই হয় তার ২৯তম বর্ষ থেকে। ওদিকে ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ ছিল ৯৬৩ হিজরী। আকবরপন্থীদের মতে...