সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের জন্য গঠিত হোক তদন্ত কমিশন


                                                  
 ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী

ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অন্তর্ধ্যান রহস্য এই জোড়া ঘটনা সম্পর্কে সে সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর ব্যাক্তিত্ব জওহরলাল নেহেরুর ভুমিকা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই।ইতিহাস বলছে বিরোধীদের তিনি সহ্য করতে পারতেন না।অনেকে মতে ভারতীয় রাজনীতিতে নেহেরুর মতো অসহিষ্ণু ব্যাক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিনসরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি দুই শক্তিশালী বিরোধী ব্যক্তিত্ব নেতাজী সুভাষ ও শ্যামাপ্রসাদ কে চিরকালের জন্য লোক চক্ষুর আড়ালে পাঠিয়ে দিতে সমর্থ হয়ে ছিলেন, এমন অভিযোগ এখনো উঠছে। ঐতিহাসিক ঘটনা বলি বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে নেহেরু-আব্দুল্লার পাতা ফাঁদে পা দিয়েই তিলে তিলে মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছেন ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। ড: বি আর আম্বেদকরের শোক বার্তাতেও সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর সহকর্মী ড: বি আর আম্বেদকর বলেছিলেন,' আমার পূর্বতন সহকর্মী ও পুরোনো বন্ধু ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর হঠাৎ মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত এবং বিস্মিত ।আমি নিশ্চিত এই মৃত্যুতে জনজীবনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পুরণ হওয়ার নয়।
                                                 
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মরদেহ
    
এটা সত্য যে ড:মুখার্জী প্রয়োজনীয় পারমিট ছাড়া কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিলেন।কিন্তু এই বিষয়টি আমার পক্ষে বুঝে উঠা ভীষন কঠিন যে শুধুমাত্র বিনা পারমিটে প্রবেশ করার জন্য শেখ আব্দুল্লা ওঁকে কেমন করে আটকে রাখলেন।গোপনে কোন আগুন্তুক প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আমাদের দেশে আইন আছে। কিন্তু আমি এমন একটিও ঘটনা জানিনা যেখানে শুধুমাত্র পারমিট ছাড়া প্রবেশের জন্য কাউকে জেলে পাঠিয়ে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়েছে। শেখ আব্দুল্লার উচিত ছিল ড: মুখার্জীকে ভারতে ফেরত পাঠানো। আটকে রাখার পরিবর্তে খুব সহজেই তিনি এই কাজটি করতে পারতেন।ড: মুখার্জী ও তার আন্দোলন ভারত সরকারের পক্ষে অস্বস্তির কারণ শুধুমাত্র এই অজুহাতে শেখ আব্দুল্লা কোন রকম আইন সঙ্গত কারণ ছাড়াই আইনী ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওঁকে জেলে আটকে রাখলেন।
: মুখার্জীর অন্তরীণ অবস্থা নিয়ে ভারত সরকারের নীরবতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেছেন,'যে পরিস্থিতিতে ড: মুখার্জীর মৃত্যু হয়েছে তা অন্য একটি দিক থেকেও দু:খজনক ঘটনা।সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকুন দেশের একজন নাগরিক নাগরিকই থাকেন। একটি নির্বাচিত সরকার নিরপেক্ষ ভাবে ওঁর বন্ধু এবং শত্রু উভয়কে সমান দৃষ্টিতে নিরাপত্তা দিতে বাধ্য।'##
                                                সাধনকুমার পাল

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভারতের প্রথম "Gen Z Movement"

          লিখেছেন :: সাধন কুমার পাল Gen Z বা  Generation Z  হল সেই প্রজন্ম যারা মূলত ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে (কিছু গবেষক ১৯৯৫–২০১০ বা ২০০০–২০১৫ পর্যন্তও ধরে নেন)। অর্থাৎ, এই প্রজন্মের মানুষদের বর্তমান বয়স আনুমানিক ১২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। ২. নামকরণের কারণ: • Baby Boomers  (১৯৪৬–১৯৬৪) • Generation X  (১৯৬৫–১৯৮০) • Millennials  বা  Gen Y  (১৯৮১–১৯৯৬) • তার পরবর্তী প্রজন্মকে বলা হয় Gen Z। "Z" অক্ষরটি এসেছে ধারাবাহিকতার কারণে। ৩. প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য: • Gen Z হল প্রথম প্রজন্ম যারা জন্ম থেকেই ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে। • এদের বলা হয় Digital Natives (ডিজিটাল-প্রাকৃতিক)। • Facebook, Instagram, YouTube, TikTok, Snapchat, WhatsApp – এসব প্ল্যাটফর্ম এদের জীবনের অংশ। ৪. শিক্ষাগত ও মানসিক বৈশিষ্ট্য: • তথ্য জানার জন্য বইয়ের বদলে বেশি ব্যবহার করে গুগল ও ইউটিউব। • মনোযোগের সময়কাল তুলনামূলকভাবে ছোট (short attention span), তবে একসাথে অনেক তথ...

তিনবিঘা থেকে শিলিগুড়ি করিডর: সীমান্তে নতুন আগুন, নিরাপত্তায় শৈথিল্য

                                                                    সাধন কুমার পাল     বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর চিকেন'স নেক অঞ্চলটি  নতুন করে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়  রাজ্যগুলিকে(সেভেন সিস্টারস) "স্থলবেষ্টিত" বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে এই অঞ্চলে  "সমুদ্র পথে  প্রবেশের নিরিখে অভিভাবক" হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।  ভারতের আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হল, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিলিগুড়ি করিডরের কাছে লালমনিরহাটে ব্রিটিশ আমলের বিমান ঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চীনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে লালমুনিরহাট বিমান ঘাঁটির কাজ ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে শুরু হতে পারে, যেখানে একটি পাকিস্তানি কোম্পানি উপ-ঠিকাদার হিসেবে থাকবে। ভারত-ভ...

শিক্ষকদের কান্নায় কি ডুববে মমতার সিংহাসন?"

                                                   সাধন কুমার পাল     ত্রিপুরায় তখন রক্তমাখা লাল রাজত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ছিলেন সিপিএমের মানিক সরকার, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘সাদামাটা মুখ্যমন্ত্রী’ নামে। ২০১০ এবং ২০১৩ সালে বাম সরকারের আমলে ১০,৩২৩ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন কিছু প্রার্থী। আগরতলা হাই কোর্ট চাঞ্চল্যকর রায় দেয়—পুরো প্যানেল অবৈধ, বাতিল করতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় তৎকালীন সরকার, কিন্তু ২০১৭ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও হাই কোর্টের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়। এই রায়ের ঢেউ রাজনীতির ময়দানেও পড়ে। পরের বছর বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা হাতছাড়া হয় মানিক সরকারের। ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দেয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্...