সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেস ও বামপন্থীদের ভারত বিরোধী অপপ্রচার পাকিস্থানকেও টেক্কা দিয়েছে


                                       
ভারত বিরোধীতায় একসূত্রে গাথা
৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর এক রক্তপাতহীন কাশ্মীরের চেহারা ক্রমশই সামনে আসছে।আগষ্টের ৫ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত কাশ্মীরে একটিও বুলেট ফায়ার হয়নি।এ যেন এক অচেনা কাশ্মীর।গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯,কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল সর্বোচ্চ আদালতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বধীন বেঞ্চে একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে জানিয়েছেন ,১৯৯০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ৭১০০০ টি হামলায় ঘটনায় ৪২০০০ প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০৩৮জন সাধারণ নাগরিক, ৫৯২৯ জন নিরাপত্তারক্ষী এবং ২২৫৩৬ জন সন্ত্রাসবাদী ।এই রিপোর্টের ব্যাখ্যায় বলা হয়,শেষ ৭০ বছরে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তের ওপার থেকে উসকানি,পাথরবাজদের অর্থ সাহায্য, স্থানীয় যুবকদের মগজ ধোলাই এবং জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ঠ অবনমন ঘটেছিল। এক কথায় কাশ্মীর নিযে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পদক্ষেপ দেশে বিদেশে এত ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে যে তাবড় তাবড় বিশ্লেষকরাও হিসেব মেলাতে পারছে না।যারা মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকার তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে,তারাও এই পদক্ষেপের পিছনে দলমত নির্বিশেষে সমর্থনের বহর দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে এই পরিবেশ যে একদিনে তৈরী হয় নি তা বুঝতে হলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নিত্য নৈমিত্তিক কাজের দিকে নজর ঘোরাতে হবে।রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নিত্য শাখায় মূলত বালক শিশুদের জন্য যে সমস্ত খেলা হয় তার মধ্যে একটির নাম 'কাশ্মীর কিসকা' ।খেলাটি আসলে মাটিতে চিহ্নিত করা গোড়ালি রাখার মতো একটি ছোট জায়গা দখলের লড়াই।খেলা চলার সময় ধ্বনি উঠে 'কাশ্মীর কিসকা' তার জবাবে সবাই চিৎকার করে বলে 'হামারা'।খেলাটি অত্যন্ত হিম্মত ও সরাসরি চ্যালেঞ্জের খেলা।যার বাহুবল ও কৌশল বেশি খেলা শেষে সেই জয়ী হয়।
আজ থেকে চল্লিশ বছর আগেও সংঘের শাখায় এই খেলাটি খেলতে দেখেছি। শাখার মাঠে কেন এই ধরণের খেলা হতো ছেলেবেলায় এটা না বুঝলেও কাশ্মীরকে যে আমাদের মুক্ত করতে হবে এই অনুভবটুকু হতো। কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারার কবল থেকে মুক্ত করে এলাকটিকে দেশের মূলস্রোতের সাথে মেলানো সংঘের স্বয়ংসেবকদের কাছে নিত্য সাধনার বিষয় হয়ে উঠেছিল।অনেকটা যেন ইজরায়েলীদের নিজের মাতৃভুমি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্মধরে 'Next year in Jerusalem 'প্রতিজ্ঞা গ্রহনের মতো। ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে সংসদে দাড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় অমিত শা'য়ের শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তা দেখে মনে হচ্ছিল উনিও হয়তো বালক অবস্থায় দিনের পর দিন সংঘের শাখার মাঠে 'কাশ্মীর কিসকা' খেলেছেন এবং চাম্পিয়নও হয়েছেন অনেকবার।কাশ্মীর নিয়ে এই আবেগ বুঝতে হলে জীবণের অন্তিম লগ্নে ৩৭০ ধারার রাহুগ্রাস মুক্ত কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে সুষমা স্বরাজের সর্বশেষ টুইটে চোখ রাখতে হবে যাতে তিনি লিখেছেন, 'Thank you Prime Minister .Thank you very much I was waiting to see this day in my life.'। মনে রাখতে হবে কাশ্মীর নিয়ে ভারতবাসীর এই আবেগের সাথে কাশ্মীরবাসীর আত্মপরিচয় রক্ষার আবেগের কেন সংঘাত নেই ।কারণ ৩৭০ ধারা নামক বিশেষ সুবিধার আড়ালে এতদিন যা হচ্ছিল সেটা কাশ্মীরের প্রকৃত পরিচয় মুছে দিয়ে এলাকাটিকে ইসলামিক জেহাদের পৃষ্ঠভুমি গড়ে তোলার প্রত্যক্ষ লড়াই।৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে এই জনসমর্থন যে বছরের পর বছর ধরে সংঘের স্বয়ংসেবকদের সাধনার ফসল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভিতে একটি বিতর্কসভায় যোগদান করে পেশায় একজন সাংবাদিক, রাজনীতিক ও ভূ-বিদ মুশাহিদ হুসেন জানান, ভারতে অনেক বিরোধীতার মাঝেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লেখিকা অরুন্ধুতি রায়, বর্ষীয়ান রাজনৈতিক দল কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘সমব্যাথী’।এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের অবস্থার কীভাবে উন্নতি হবে তা জানতে চাওয়া হলে মুশাহিদ হুসেন জানান, “ভারত অনেক বড় একটি দেশ আর সেই দেশে সবাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করেন না।”
তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও জানান, “কাশ্মীরের বিষয়টিকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে ও শক্ত হাতে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এটা একটা লম্বা যুদ্ধ। ভারত অনেক বড় দেশ। ভারতে অনেক মানুষই আছে যারা পাকিস্তানের জন্য সমব্যথী।যেমন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লেখিকা অরুন্ধুতি রায়, বর্ষীয়ান রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও কমিউনিষ্ট পার্টী, দলিত পার্টী। গোটা ভারতবর্ষ মোটেও মোদীর সঙ্গে নেই।” একজন পাকিস্থানী পাকিস্থানের টিভি চ্যানেলে বসে ভারতের যে সমস্ত ব্যাক্তি ও দলকে পাকিস্তানের ‘সমব্যাথী’ বলে উল্লেখ করেছেন তারা কিন্তু কেউ এই লেখা শেষ করা পর্যন্ত এই বক্তব্য খন্ডন করে নি।
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্থান সম্পূর্ণ একা।পাকিস্থানের আবেদনের উত্তরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ স্পষ্ট করে দিয়েছে দ্বিপাক্ষিক বিষয় হিসেবে কাশ্মীর ইস্যু ভারতের সাথে কথা বলেই মিটিয়ে নিতে হবে।রাশিয়া,আমেরিকা ,থাইল্যান্ড ,মালয়শিয়া সহ ইসলামিক দেশগুলির কেউ পাকিস্থানের পাশে নেই ।এই সমস্ত দেশ মনে করে কাশ্মীরে ভারত যা করেছে তা ভারতীয় সংবিধান মেনেই করেছে। সমস্ত বিশ্বে পাকিস্থানের পাশে যে কেউ নেই একথা ঐ দেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেই জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্থানের একমাত্র সহায় ভারতের সেই সমস্ত দল ও ব্যাক্তি যাদের কে পাকিস্থানের টিভি চ্যানেলে মুশাহিদ হুসেন পাকিস্তানের ‘সমব্যাথী’ বলে চিহ্নিত করেছেন।
                                                

পাকিস্তানের ‘সমব্যাথী’ বলে চিহ্নিত এই সমস্ত দল ও ব্যাক্তি বর্গের বক্তব্য বিশ্লেষন করলে এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের মানুষের মানুষের উপর অত্যাচার করছে ,দমন পীড়ন চালাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে হইচই করে করে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়া।এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন দেশের ভেতরে বাইরে পাকিস্থানের মুখরক্ষা ও ভারতে পাকিস্থানের 'সমব্যাথী'দের মুখরক্ষার উপায় একটিই, ' যে ভাবেই হোক এটা প্রমাণ করা যে ভারতের তরফে কাশ্মীরের মানুষের উপড় দমন পীড়ন হচ্ছে'। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভায় দাড়িয়ে যখন কাশ্মীর ইস্যুকে 'রাষ্ট্রসংঘের পর্যবেক্ষণাধীন' বলে মন্তব্য করলেন তখন রাহুল গান্ধী ,সোনীয়া গান্ধী সংসদে উপস্থিত থেকেও এটি কংগ্রেদলের বক্তব্য নয় বলে প্রতিবাদ করে নি।পি চিদাম্বরম যখন কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্র সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তকে হিন্দু মুসলিম করার প্রয়াস করলেন কিংবা অধীররঞ্জন যখন কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে হিটলারের নাজি ক্যাম্পের সাথে তুলনা করলেন গান্ধী পরিবার তার প্রতিবাদ করে নি।বিবিসি,আলজাজিরার মতো কিছু বিদেশি মিডিয়ার ভারত বিরোধী এজেন্ডার অঙ্গ হিসেবে প্রচারিত কিছু রিপোর্ট ও পাকিস্থানের আনা কল্পিত অত্যাচার ও তার জেরে মানুষের মৃত্যুর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে রাহুল গান্ধী ভারত সরকার ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাশ্মীর নিয়ে সত্য উদঘাটনের দাবী করেছেন।এতে এটাও প্রমাণ হয় যে রাহুল গান্ধীর দেশের মিডিয়া ওপ্রশাসনের উপর ভরষা করেন না। এর জবাবে কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাহুল গান্ধীকে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে প্রমান দিতে বলছেন। এই বিষয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য স্পষ্ট , ৩৭০ ধারা বাতিলের পর যে কাশ্মীরে কোন গুলি ও লাঠি চলে নি, সেখানে অত্যাচার ও মৃত্যুর প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে।
জম্মু-কাশ্মীরে প্রশাসনিক কড়াকড়ি শিথিল করা নিয়ে কোনও রায় দেয় নি সুপ্রিম কোর্ট। কোনও কিছুই রাতারাতি করা যাবে না। উপত্যকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারকে সময় দিতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কার্যত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে রাখা হয়েছে ভূ-স্বর্গকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত থমকে রয়েছে উপত্যকায়। এই প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। সেই মামলার শুনানিতেই গত ১৩ আগষ্ঠ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এই বক্তব্য জারি করেছে।
মঙ্গলবার আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উপত্যকার পরিস্থিতির শিক্ষা নিয়েই এবার এত কড়াকড়ি করা হয়েছে। তিনি আশ্বাসের সুরে বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। এজি এও জানান যে, সরকার নিয়মিত গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। এখনও পর্যন্ত উপত্যকায় কোনও প্রাণহানি হয়নি।
ইতিমধ্যেই মঞ্চে হাজির হয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও সেই বক্তব্য রাখলেন যা পাকিস্থান শুনতে চাইছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেছেন কেন্দ্র সরকার কাশ্মীরে যা করেছেন তা দেশের সংবিধান বিরোধী।রাহুল প্রিয়াঙ্কা যাই বলুন না কেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ হরিয়ানার দীপেন্দ্র হুদার মতো অনেক কংগ্রেস নেতা কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। ৭০ বছর বয়সী কংগ্রেসের দাপুটে নেতা জনার্দন দ্বিবেদীর দাবি ,' ইতিহাসের ভুল এতদিনে সঠিক করা হল'।তিনি আরো বলেন ,' আমি কোন পার্টির অবস্থান নিয়ে বলব না। তবে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার গুরু রামমনোহার লোহিয়াও ৩৭০ ধারর বিরুদ্ধে বলতেন।আমার ব্যাক্তি গত মত হল ,এটা জাতীয় সন্তষ্টির বিষয়।'
এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে গান্ধী পরিবার কাশ্মীর ইস্যুতে শুধু দেশের আমজনতা নয় নিজের দল থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।লোকসভা নির্বাচনের সময়ও রাহুল গান্ধী রাফায়েল ইস্যুতে, 'চৌকিদার চোর হ্যায়' স্লোগানের ইস্যুতে যে নিজের দল ও আমজনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন নির্বাচনের ফলে তা প্রমান হয়ে গেছে। রাহুল গান্ধী নিজে আমেথি থেকে পরাজিত হয়েছেন,কংগ্রেস সাকুল্যে ৫২টি আসনে জয়ী,অবশেষে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগও করতে হয়েছে রাজীব পুত্র কে।
রাজনীতি করতে হলে পাকিস্থান নয় ভারতের ভোটারদের কাছে নিজেদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিতে হবে ,এই দেওয়াল লিখন কংগ্রেসের যে নেতারা পড়তে পেরেছেন একমাত্র তারাই বোধহয় কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পাশে দাড়িয়েছেন।কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বমঞ্চে সম্পূর্ণ একা পাকিস্থানের একমাত্র ভরষা ভারতের পাক সমব্যথীরা।ভারতের এই সমস্ত নেতানেত্রী ও দলের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কোনঠাসা পাকিস্থান ঘুরে দাড়ানোর চেষ্ঠা করছে।কাশ্মীর নিয়ে সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তির হেডলাইন দেখলে মনে হবে কাগজটি পাকিস্থানে ভারত বিরোধী ডেরায় ছাপা হচ্ছে।গত ১৫ আগষ্ঠ গণশক্তির একটি খবরের হেডলাইন ,'মাঝরাতে শিশুদেরও তুলে নিয়ে যাচ্ছে জওয়ানরা'।এই খবরে লেখা হয়েছে ,'কাশ্মীরে মাঝরাতে বিছানা থেকে শিশুদেরও তুলে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।থানায় নিয়ে মারধর করা হচ্ছে।মহিলাদের অভিযোগ ,শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে ।কাশ্মীর উপত্যকায় ঘুরে এসে এই রিপোর্ট করল এজ তথ্যনুসন্ধানী দল ।এই দলের সদস্যরা জানালেন ,কাশ্মীরে সমস্ত অংশের মানুষের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।৩৭০ নং ধারা খারিজ এবং যে পদ্ধতিতে তা খারিজ করা হয়েছেতা নিয়ে মানুষ ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ।এই ক্ষোভ দমন করতে গিয়ে সরকার কাশ্মীরে দমন পীড়ন চালাচ্ছে।গোটা কাশ্মীরই কার্যত কারফিউ কবলিত হয়ে রয়েছে'.....
সার্জিক্যাল ষ্ট্রাইক ও বালাকোটে বিমান হানার প্রমাণ চেয়ে এর আগেও এই 'সমব্যথীরা' পাকিস্থান কে সহায়তা করেছেন। এবার স্বাধীনতা দিবসে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বালাকোট এয়ার ষ্ট্রাইকের কথা নিজে মুখে স্বীকার করার পর রাহুল মমতা,বামপন্থী নেতানেত্রীরা এখন মিথ্যাচারের জন্য, ভারতীয় সেনাকে অপমান করার জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা না চেয়ে মুখে কুলুপ এটে রয়েছেন। হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও কমিউনিষ্ট পার্টিও সংখ্যালঘু তোষনের রাজনীতির সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ পাকিস্তানের ‘সমব্যাথী’ তকমার সাহায্যে ঘুরে দাড়ানোর খোয়াব দেখছেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে এটা বলতেই হবে যে আগামী দিনে দেশ হিসেবে পাকিস্থানের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে? ভারতের মধ্যে থাকা পাকিস্তানের ‘সমব্যাথী’দের অস্তিত্ব বিলোপের দায়িত্ব যে ভারতের দেশপ্রেমিক আমজনতাকেই নিতে হবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। ##
                                    সাধন কুমার পাল
 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভারতের প্রথম "Gen Z Movement"

          লিখেছেন :: সাধন কুমার পাল Gen Z বা  Generation Z  হল সেই প্রজন্ম যারা মূলত ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে (কিছু গবেষক ১৯৯৫–২০১০ বা ২০০০–২০১৫ পর্যন্তও ধরে নেন)। অর্থাৎ, এই প্রজন্মের মানুষদের বর্তমান বয়স আনুমানিক ১২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। ২. নামকরণের কারণ: • Baby Boomers  (১৯৪৬–১৯৬৪) • Generation X  (১৯৬৫–১৯৮০) • Millennials  বা  Gen Y  (১৯৮১–১৯৯৬) • তার পরবর্তী প্রজন্মকে বলা হয় Gen Z। "Z" অক্ষরটি এসেছে ধারাবাহিকতার কারণে। ৩. প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য: • Gen Z হল প্রথম প্রজন্ম যারা জন্ম থেকেই ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে। • এদের বলা হয় Digital Natives (ডিজিটাল-প্রাকৃতিক)। • Facebook, Instagram, YouTube, TikTok, Snapchat, WhatsApp – এসব প্ল্যাটফর্ম এদের জীবনের অংশ। ৪. শিক্ষাগত ও মানসিক বৈশিষ্ট্য: • তথ্য জানার জন্য বইয়ের বদলে বেশি ব্যবহার করে গুগল ও ইউটিউব। • মনোযোগের সময়কাল তুলনামূলকভাবে ছোট (short attention span), তবে একসাথে অনেক তথ...

তিনবিঘা থেকে শিলিগুড়ি করিডর: সীমান্তে নতুন আগুন, নিরাপত্তায় শৈথিল্য

                                                                    সাধন কুমার পাল     বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর চিকেন'স নেক অঞ্চলটি  নতুন করে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়  রাজ্যগুলিকে(সেভেন সিস্টারস) "স্থলবেষ্টিত" বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে এই অঞ্চলে  "সমুদ্র পথে  প্রবেশের নিরিখে অভিভাবক" হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।  ভারতের আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হল, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিলিগুড়ি করিডরের কাছে লালমনিরহাটে ব্রিটিশ আমলের বিমান ঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চীনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে লালমুনিরহাট বিমান ঘাঁটির কাজ ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে শুরু হতে পারে, যেখানে একটি পাকিস্তানি কোম্পানি উপ-ঠিকাদার হিসেবে থাকবে। ভারত-ভ...

শিক্ষকদের কান্নায় কি ডুববে মমতার সিংহাসন?"

                                                   সাধন কুমার পাল     ত্রিপুরায় তখন রক্তমাখা লাল রাজত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ছিলেন সিপিএমের মানিক সরকার, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘সাদামাটা মুখ্যমন্ত্রী’ নামে। ২০১০ এবং ২০১৩ সালে বাম সরকারের আমলে ১০,৩২৩ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন কিছু প্রার্থী। আগরতলা হাই কোর্ট চাঞ্চল্যকর রায় দেয়—পুরো প্যানেল অবৈধ, বাতিল করতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় তৎকালীন সরকার, কিন্তু ২০১৭ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও হাই কোর্টের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়। এই রায়ের ঢেউ রাজনীতির ময়দানেও পড়ে। পরের বছর বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা হাতছাড়া হয় মানিক সরকারের। ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দেয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্...