ঠাকুর পঞ্চানন বার্মা (১৮৬৬ –১৯৩৫)
ঠাকুর পঞ্চানন ও রায় সাহেব নামে পরিচিত
ছিলেন , রাজবংশী নেতা ও হিত সাধক এবং তৎ কালিন কুচবিহার রাজ্য সহ আসাম ও বাংলার
সমাজ সংস্কারক । তিনি
সনাতন হিন্দু সমাজের বর্ণ বিদ্বেষ কে প্রতিহত করে শক্তিশালি হিন্দু সমাজ গরতে মুখ্য ভূমিকা গ্ৰোহন করেছিলেন । এই অঞ্চলের সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ও তাঁর নিজস্ব বর্ণের মানুষের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যিক মূল্যবোধ ও অনুশীলনে সচেষ্ট ছিলেন।
তাঁর প্রকৃত নাম ছিল পঞ্চানন সরকার, পিতার নাম শ্রী খোশল চন্দ্র সরকার ও মাতার নাম শ্রীমতি চম্পলা সরকার।তিনি ১১ই ফেব্রয়ারি ১৮৬৬ সালে কুচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গার খলিশামারি গ্ৰামের এক রাজবংশী জোতদার পরিবারে জন্ম গ্ৰোহন করেছিলেন।
তিনি ১৮৯৩ সালে কোলকাতা কলেজ থেকে সংস্কৃত ওনার্স নিয়ে স্নাতক করেন।পরে প্রাইভেটলি মেন্টাল এন্ড মোরাল ফিলোসফি ১৮৯৬ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এ. , পরবর্তিতে সুরেন্দ্রনাথ ল্ কলেজ , কোলকাতা থেকে এল.এল.বি. ডিগ্ৰী ১৯০০ সালে সম্পন্য করেছিলেন।
ক্যারিয়ারের প্রথমে তিনি
রংপুর আদালতে আইন অনুশীলন শুরু করেন।
সেখানে কর্ম জীবনে উচ্চ -নিম্ম বর্ণ ভেদ ও বিদ্বেষ ভাবে তিনি হতবাক হয়েছিলেন ।
পরের বছর থেকে তিনি ক্ষত্রিয়আন্দলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ও
রাজবংশী সম্প্রদায়ের মধ্যে গন আন্দোলন খারা করেন।
রাজবংশীদের সংগঠিত এবং উচ্চশিক্ষিত করার চেষ্টা করেন । মাতৃ শক্তি জাগরনের মাধ্যমে সমাজের অলসতা , নেশা ও কুরিতি দুর করার জন্য কবিতা লিখে ছিলেন , "ডাংধরী আঈ"।
ক্ষত্রিয় সমিতি স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষাত্র আন্দোলন গরে তোলেন।
রাজবাংশীরা ক্ষত্রিয় এবং রাজকীয় বংশ, ঐতিহাসিক যুক্তিসহ প্রমান করেন। উল্লেখ করেন পরশুরামের ক্ষত্রিয় নিধন যজ্ঞে র সময়, রাজবংশীরা পৈতা লুকিয়ে তরাই ডুয়ার্স বনাঞ্চলে আত্মগোপন করেছিলেন , সংস্কৃত সাহিত্যের উপর ভিত্তি করে তৎকালিন ব্র়াহ্মণ পন্ডিত রাও এই দাবি করেন ।
রাজবংশী ক্ষত্রিয়রা তাদের সত্য পরিচয় গোপন করছেন
শতাব্দীর পর শতাব্দী। এই দাবির সমর্থনে বেনারসে গিয়ে সমস্ত পন্ডিত , মঠাধিশ ও শঙ্কোরাচার্যের উপস্থিতীতে, নিজের পান্ডিত্যের জন্য সন্মানিত হন এবং " ঠাকুর " উপাধি লাভ করেন ।
পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে
ক্ষত্রিয়করণ প্রক্রিয়ায়
হাজার হাজার রাজবংশী উপনয়ন নেন।
১৯২১ সালে, ঠাকুর পঞ্চানন
বেঙ্গল আইনসভায় নির্বাচিত হন।
তিনি কোলকাতায় শেষ নিশ্বাষ ত্যাগ করেন
৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ .

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন