সাধন কুমার পাল-  সোসাল
মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে
করোনা সংক্রমনের জেরে হওয়া
লকডাউনের সময়  রাষ্ট্রীয়
স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা
নিজের জীবন বিপন্ন করে ডাক্তার
,নার্স,পুলিশ
কর্মী,প্রশাসনিক
কর্তাদের মতো করোনা যোদ্ধাদের
সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরন্তর
জন সেবা নিয়োজিত রয়েছে।কাশ্মীর
থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত
দশ হাজারেরও বেশি স্থানে এক
লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক
স্থানীয় প্রয়োজন অনুসারে
যেমন  পরিস্কার পরিছন্নতা ,
মাস্ক-সেনিটাইজার-সাবান
বিতরণ,
সচেতনতা
কর্মসূচী চালানো,দুস্থ
মানুষের দুবেলা খাবারের
ব্যবস্থা করা,অসুস্থদের
ঔষধ পৌঁছে দেওয়া,
 ব্লাড
ব্যাঙ্কে রক্তের যোগান দেওয়া
,
অসহায়
মানুষদের চাল ডাল তেল নুন পৌছে
দেওয়া ,বয়স্ক
অশক্তদের নিত্য প্রয়োজনীয়
জিনিষ পত্র পৌছে দেওয়ার মতো
বহুমুখী কাজে যুক্ত রয়েছে।
সঙ্ঘের সরকার্যবাহ ভাইয়াজী
যোশীর দেওয়া পরিসংখ্যান
অনুসারে সারা ভারতবর্ষে দশ
লক্ষের বেশি পরিবার এই সেবা
কাজের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
দিল্লির
ঝান্ডেনওয়ালা মন্দির কমিটি
ও সেবাভারতী এই করোনা সঙ্কটে
একটি কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছে
,যার
মাধ্যমে প্রতিদিন ৩০,০০০
মানুষ খাবার পাচ্ছেন।২৯ মার্চ
শনিবার দিল্লির আনন্দ বিহার
বাস টার্মিনালে ভিড় সামাল
দিতে এবং তাদের খাবার সরবরাহ
করতেও  দেখা গিয়েছে সঙ্ঘের
স্বয়ংসেবকদের।মহারাষ্ট্রের
বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত
বিপন্ন যাযাবর সম্প্রদায়ের
মানুষের পাশে দাড়িয়ে স্বয়ংসেবকরা
মানবতার ইতিহাসে এক নতুন নজির
গড়েছে।
    
 নিজেও
জীবন বিপন্ন জেনেও 'মানুষের
বিপদের  ঝাপিয়ে পড়ার'
 সংস্কারই
স্বয়ংসেবকদের  এই সঙ্কটের
সময়ে নিরাপদ দুরত্বে সরে থাকতে
দিচ্ছে না।বিপদের সময় জাতপাত
ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকেই
সমান চোখে দেখা এটাও স্বযংসেবকদের
সংস্কার।স্বয়ংসেবকদের ডিএনএতেই
এই ধরণের নি:স্বার্থ
সেবা কাজের প্রেরণা লুকিয়ে
আছে।কেরলের বন্যায় সেবাকাজ
করার  সময় জলের তোড়ে ভেষে গিয়ে
 দুজন স্বয়ংসেবকের সলিল সমাধি
হওয়ার পরও ওখানে স্বয়ংসেবকদের
ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ থেমে থাকে
নি।
 
দিল্লি,
বেঙ্গালুরু,কেরল,
রাজস্থান
সহ যে সমস্ত জায়গায় ভিনরাজ্যের
শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন,
অসহায়
মানুষ খেতে পারছেন না তাদের
জন্য রান্না করা খাবার পরিবেশন
থেকে শুরু করে স্বয়ংসেবকরা
যাবতীয় প্রয়োজন মেটাচ্ছেন।
সর্বত্রই স্বয়ংসেবকরা স্থানীয়
প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রেখে
করোনা সঙ্কটে এগিয়ে এসেছে।
জম্মু
ও কাশ্মীরের এক মুসলিম মহিলা
তাঁর হজ তীর্থযাত্রার জন্য
পাঁচ লক্ষ টাকা বাঁচিয়েছিলেন।
আর সেই টাকাই তিনি দান করলেন
সঙ্ঘের আদর্শে পরিচালিত ‘সেবা
ভারতী’কে। করোনভাইরাস মহামারীর
জেরে দেশজুড়ে চলা লকডাউনের
মধ্য দিয়ে এই সংগঠনের দ্বারা
পরিচালিত কল্যাণমূলক কাজে
মুগ্ধ হয়েই কার্যত তিনি এই
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
৮৭
বছর বয়সী খালিদা বেগম করোনা
ভাইরাসের জন্য তাঁর হজযাত্রার
পরিকল্পনা স্থগিত করতে বাধ্য
হন। হজ হল মুসলমানদের পবিত্রতম
শহর সৌদি আরবের মক্কার বার্ষিক
ইসলামী তীর্থ।
ইন্দ্রপ্রস্থ
বিশ্ব সংবাদ কেন্দ্রের তরফে
 (IVSK)
অরুণ
আনন্দ,
সংবাদ
মাধ্যমকে জানিয়েছেন,
“জম্মু
ও কাশ্মীরে কোভিড -১৯
এর আকস্মিক প্রাদুর্ভাবের
কারণে দেশটি যে কঠিন সময় পার
করছে সেইসময় সেবা ভারতীর
দ্বারা পরিচালিত কল্যাণমূলক
কাজ দেখে মুগ্ধ হন খালিদা বেগম
জি এবং এই সংস্থাকে ৫ লক্ষ
টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত
নেন তিনি।”আনন্দ বলেন,
ওই
বৃদ্ধা চান যে এই অর্থ জম্মু
ও কাশ্মীরের দরিদ্রদের জন্য
কমিউনিটি সার্ভিস সংস্থা
সেবা ভারতী ব্যবহার করুক।
তিনি নিজের হজযাত্রার জন্য
এই পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন,
বর্তমান
পরিস্থিতির কারণে তিনি সে
পরিকল্পনা বাতিল করেছিলেন।বিভিন্ন
সূত্র থেকে সংগ্রহীত ছবি দিয়ে
একটি ফটো গ্যালারী  তুলে ধরা
হল।
  | 
| মালদা | 
  | 
| মাথাভাঙ্গা | 
  | 
| ফকিরাকুটি শাখা,পশ্চিমকোচবিহার | 
  | 
| মাথাভাঙ্গা-পশ্চিম কোচবিহার | 
  | 
| শিবাজি শাখা ,মাথাভাঙ্গা,পশ্চিম কোচবিহার | 
  | 
| ফকিরাকুটি শাখা,পশ্চিম কোচবিহার | 
                                                            
                                                                     
                                                                     
                                                                     
       
  | 
| সারদা বিদ্যামন্দির, মাথাভাঙ্গা | 
	
	
	
 
 
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন