সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দেশের শত্রুদের সুবিধা করতেই কি বিএসএফকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি?

সাধনকুমার পাল::খবর খাওয়াতে হবে ? তাহলে ভোটের রঙ মেখে দাও। আর ক্ষমতাসীন দলের রঙে রাঙিয়ে দিতে পারলে তো একেবারে কেল্লা ফতে ! ষোলকলা পূর্ন। গত ১১ অক্টোবর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও পাঞ্জাব এই তিনটি রাজ্যে বিএসএফের অধিকার ক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করেছে। প্রত্যাশা মতোই এই সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছে সার্জিক্যাল স্টাইক নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে প্রমাণ চাওয়া পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।কারণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতারাই মূলত গরু পাচার নেশাদ্রব্যের পাচার থেকে শুরু করে যাবতীয় অবৈধ কাজ কর্ম নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন । সীমান্ত এলাকা ক্ষমতাসীন দলের কাছে যেন সোনার খনি। এই সোনার খনি দখলের জন্য শুধু দুস্কৃতিদের দলীয় কোন্দল নয় ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেও নিত্য অশান্তির ঘটনা লেগেই থাকে। 
      যেমন গত ১১ অক্টোবর এই সোনার খনি দখলের লড়াইয়ে কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার গীতালদহের মরার কুটি গ্রামে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জন্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ।সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে যে পাচারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই মূলত দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এতে দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকেই ।সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন বলছে এই ঘটনায় অন্তত পক্ষে 100 রাউন্ড গুলি চলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু পক্ষের সদস্যরা একজন আরেক জনকে কোপায় বলে মোজাফফর হোসেন এবং মান্নান হক নামের দুজনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি পাঁচজন গুরুতরভাবে জখম হন ।স্বাভাবিক ভাবেই বিএসএফের কার্যক্ষেত্র বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সোনার খনি হাত ছাড়াও হওয়ার আশঙ্কায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যে তেলে বেগুণে জ্বলে উঠবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।যেমন তৃনমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম দিনহাটা এসে এই নতুন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে গিয়ে বিএসএফকে চোর বলেছে। দেশের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে যারা চিন বা পাকিস্থানের মতো দেশের শত্রুদের সাথে সুরে সুর মিলিয়ে গালাগাল করে দেশের মানুষের কাছে হেয় করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য মহৎ হতে পারে না। 
        সমস্যা হচ্ছে এই রাজ্যের মিডিয়া ও একশ্রেণির সাংবাদিক যারা হয় অজ্ঞতা বশত কিংবা শাসক দলের গুডবুকে থাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত কে এমন ভাবে তুলে ধরে প্রকৃত সত্য ধামা চাপা দেওয়ার যে চেষ্ঠা চালাচ্ছে তা শুধু নিন্দনীয়ই নয়
সংবাদ মাধ্যমের কুৎসা ছড়ানোর দৃষ্টান্ত

জঘন্য অপরাধও বটে।যে সমস্ত রাজনীতিক ও সাংবাদিক দেশের সেনাবাহিনী ও বিএসএফকে ছোট করার চেষ্টা করছেন তাদের বলবো আপনারা পাকিস্থানি ও চিনা ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখবেন কিভাবে ঐ একই কাজ শত্রুদেশ গুলি করে যাচ্ছে। আমি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করণের জন্য বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির বিরোধীতা দেশের স্বার্থ বিরোধী অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত করছি? কারণ 
     1. এই সিদ্ধান্ত প্রথমবার শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ,আসামে লাগু হল এমন নয়।কিন্তু সংবাদ মাধ্যম এমন ভাবে তুলে ধরছে এটা যেন বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে ও পাঞ্জাবে বিজেপির প্রভাব বিস্তারের কাজে রাজ্য পুলিশের মতো কেন্দ্র সরকার বিএস এফ কে ব্যবহার করবে।বিরোধীরা সেই সাথে তাদের তলল্পি বাহক সংবাদ মাধ্যম বিএস এফ ও সেনা বাহিনীকেও নোংরা রাজনীতিতে জড়িয়ে ফেলে পরোক্ষে দেশের শত্রুদের হাত শক্ত করতে চাইছে।। 
       2. ভারতবর্ষের বেশ কয়েকটি রাজ্য যেমন গুজরাট ,রাজস্থান, জম্বু কাশ্মীর, লাদাখ ,মনিপুর ,ত্রিপুরা ,নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ,মিজোরামে বিএসএফের কার্যক্ষেত্র সীমান্ত থেকে 50 কিলোমিটার অনেক আগে যথারীতি ছিল। এর আগে গুজরাটে সীমান্ত থেকে 80 কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের ক্ষমতা বিস্তৃত ছিল, এরপর তা কমিয়ে 50 কিলোমিটার করা হয় ।ঐ সমস্ত রাজ্যে বিএসএফ কে বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে এমন কথা কট্টর বিজেপি বিরোধীরাও কখনো বলেন নি। 
        3. এই রাজ্যগুলির পাশাপাশি আরো তিনটি রাজ্য এবার যুক্ত হল এবং সেটা যে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নতুন আদেশের ফলে অমৃতসর সহ পাঞ্জাবের সাতটি জেলা বিএসএফের ক্ষমতার আওতায় আসবে। পাঞ্জাবের 50362 বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে 21500 বর্গকিলোমিটার এলাকা বিএসএফের আওতায় আসছে ।পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী নয়টি জেলা বিএসএফের বর্ধিত ক্ষমতার আওতায় আসছে। একই রকমভাবে আসামের বেশ কয়েকটি জেলা বিএসএফের ক্ষমতার মধ্যে আসছে। বিএফ এফ এ্যক্ট 1968 সেকশন 139 এর 1 নং ধারা অনুসারে সীমান্ত সুরক্ষা বল তাদের জন্য নির্ধারিত এলাকার মধ্যে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের ছাড়াই যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে এবং তল্লাশি নিতে পারে। 
       4. 1990 এর দশকে যখন পাঞ্জাবে ড্রাগের চোরাচালান এবং খালিস্তান আন্দোলন দুটোই চরমসীমায় উঠেছিল সেই সময় ওই রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং অকালি দল প্রত্যেকেই দাবি জানিয়ে ছিল যে বিএসএফের কার্য়ক্ষেত্র সীমান্ত থেকে 15 কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে 50 কিলোমিটার করা হোক ।কিন্তু আজকে যখন সেই দাবি বাস্তবায়িত হলো তখন বিরোধীরা তুচ্ছ রাজনৈতিক লাভের আশায় দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ১৯৯০ এর দশকে আফগানিস্থানে তালিবান শাসন কায়েম হয়েছিল হলে ড্রাগের চোরাচালান এবং সন্ত্রাসবাদ এই দুই সমস্যায় পাঞ্জাব ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিল ।আজকে আবার আফগানিস্তান তালিবানের দখলে গেছে এই পরিস্থিতিতে আবার সেই নব্বইয়ের দশকের মতন পরিস্থিতি ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেজন্য দেশের আভ্যন্তরীন সুরক্ষার স্বার্থে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত যে যুক্তিযুক্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
 5. 1962 সালে চীন-ভারত যুদ্ধের আগে সীমা সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাতেই ছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সীমা সুরক্ষার জন্য পৃথক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব অনুসারে ইন্ডো টিবেটান বর্ডার ফোর্স গঠিত হয়। অরুণাচল প্রদেশ ,উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তে এই বাহিনীকে নিযুক্ত করা হয়েছিল ।এরপর 1965 সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের পর বিএসএফ গঠিত হয়। বিএসএফকে মূলত ভারত-পাক সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর 1971 সালে বাংলাদেশ গঠনের পর ইন্দিরা গান্ধী পাঞ্জাবে বিএসএফের অধিকার ক্ষেত্র বাড়িয়ে দিয়েছিলেন. প্রথমে এই অধিকার ক্ষেত্র ছিল 16 কিলোমিটার. পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ক্ষমতায় আসার জন্য তাদের সুবিধা অনুসারে এটা বাড়ানো এবং কমানো হয়েছে এর ফলে পাঞ্জাবে লাগামহীন ড্রাগের চোরাচালান বেড়েছে এবং আজকের দিনেও ড্রাগ পাঞ্জাবের সবচাইতে বড় সমস্যা।
    6. বিগত দিনে এবং সাম্প্রতিক কালে সারা ভারতবর্ষে যত জঙ্গী হানা হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদী গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের সিংহ ভাগই এই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছে। সেজন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যে অংশগুলি এখনো দুর্বল সেগুলোতে বিএসএফের অধিকার ক্ষেত্র বাড়ানো যুক্তিযুক্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।ভারতবর্ষের বর্তমান রাজনৈতিক চিত্র পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এমনকি প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের পরোক্ষ সাহায্য নিয়েও ক্ষমতায় আসতে উদগ্রীব। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোটের জন্য দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কে জলাঞ্জলি দিয়ে কোন কোন রাজ্য সরকারের পরোক্ষ মদতে যে সমস্ত ক্রিয়া-কলাপ সংঘটিত হচ্ছে তা যে দেশের ঐক্য সংহতি পক্ষে এক বিরাট হুমকি তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।এরকম একটি প্রেক্ষাপটে বিএসএফ মতো একটি সুসংগঠিত বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রয়োজন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 
     7. দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, বিদেশনীতি ,জঙ্গি দমন এই সমস্ত কিছুই যখন ভোটের দৃষ্টিতে নির্ধারণ হতে থাকে তখন বোধহয় কোন দেশের সর্বনাশ হতে আর খুব বেশি বাকি থাকে না।ঠিক এই সর্ননাশটিই দেশের বিজেপি বিরোধীরা করে যাচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক কারণে বিএসএফকে রাজ্য পুলিশের সাথে তুলনা করা বিএসএফকে দোষারোপ করা দেশের সেনাবাহিনীকে রাজনীতির অঙ্গনে টেনে আনা দেশের নিরাপত্তার দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ এবং দেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। সেজন্য অন্তত সংবাদমাধ্যমের কাছে এইটুকু আশা করাই যায় যে ওরা সঠিক তথ্য তুলে ধরে সঠিক জনমত গঠনে সহায়তা করবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তা না করে সংবাদমাধ্যমগুলো সেই সস্তা রাজনীতির ঢোল বাদক হয়ে নিজেদের বিশ্বাস যোগ্যতা খোয়াচ্ছে। 
     8. খাগড়াগড় থেকে কালিয়াচক ,শিমুলিয়া মাদ্রাসার ইসলামিক জিহাদী প্রশিক্ষন শিবির এক ভয়ঙ্কর দেশ বিরোধী চক্রান্ত। এই সমস্ত ঘটনাই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের দুর্বল নজরদারীর জন্যই ঘটতে পেরেছে। 
     9. ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার , নারী পাচার ,অনুপ্রবেশ ,নেশাদ্রব্যের চোরা চালান কে কেন্দ্র করে দেশ বিরোধী ক্রিয়া কলাপ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। 
    10. জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিতে চিকেন নেক অত্যন্ত গুরুত্ব পুর্ণ এলাকা। এই এলাকার নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর জন্য বিএস এফকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন আছে। 
    11. বছরভর ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে কত অনুপ্রবেশ হয় এবং এদের মধ্যে কত জন সন্ত্রাসবাদী আর কত জন কাজের খোঁজে ভারতে প্রবেশ করে তা নির্নয় করা কঠিন। ২০২১ সালে শুধু মাত্র উত্তরবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে কত জন বিএসএফের হাতে ধরা পরেছে দৃষ্টান্ত হিসেবে তার কয়েকটি তুলে ধরা হল। 
     গত ১০ জুন ২০২১ কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর বিওপি এলাকা দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিনা গুপ্তচর হান জুনেই ।হান সাইবার বিশেষজ্ঞ বলে অনুমান পুলিশের। ভারতে সাইবার হানার পরিকল্পনা নিয়েই অনুপ্রবেশ করেছিল সে। তারপরই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায়। 
     গত ২৫ অগাষ্ট ২০২১উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানা এলাকার বিষ্ণুপুর সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সাত বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল বংশীহারি থানার পুলিশ। ধৃতরা হল, পারভেজ রহমান, তৌহিদ খান, রুকুনুর জামান, কেরামত আলি, আবু তাহের, নাজমুল হক সাগর ও আবু কাউসার শাহিদ। 
      গত ২৪ মার্চ ২০২১ কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত ভিআইপি মোড় এলাকা থেকে সীমান্তের কাটাতার পেড়িয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে আটজন বাংলাদেশী নাগরিক সহ এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করল মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতরা, ফারুক(২৬), তরিকুল ইসলাম(২২), নাহির হাসান(২১), মহম্মদ নিজামুদ্দিন(১৮), রাজীব হক(২৫), লতিফ আলী(২০), আফ্রুজা বেগম(২৫) এবং তাঁর ৪ বছরের পুত্র সন্তান। 
    অনুপ্রবেশের এই ভয়াবহ চিত্র রুখে দেওয়ার জন্য বিএসএফের কার্য ক্ষেত্র বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। রাজস্থান ,গুজরাট সহ যে সমস্ত রাজ্যে বিএসএফের কার্যক্ষেত্র সীমান্ত থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার সেই সমস্ত রাজ্যে অনুপ্রবেশের ঘটনা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে আফগানিস্থানে তালিবানের হাতে চলে যাওয়ার পর বিএসএফের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ###

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভারতের প্রথম "Gen Z Movement"

          লিখেছেন :: সাধন কুমার পাল Gen Z বা  Generation Z  হল সেই প্রজন্ম যারা মূলত ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে (কিছু গবেষক ১৯৯৫–২০১০ বা ২০০০–২০১৫ পর্যন্তও ধরে নেন)। অর্থাৎ, এই প্রজন্মের মানুষদের বর্তমান বয়স আনুমানিক ১২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। ২. নামকরণের কারণ: • Baby Boomers  (১৯৪৬–১৯৬৪) • Generation X  (১৯৬৫–১৯৮০) • Millennials  বা  Gen Y  (১৯৮১–১৯৯৬) • তার পরবর্তী প্রজন্মকে বলা হয় Gen Z। "Z" অক্ষরটি এসেছে ধারাবাহিকতার কারণে। ৩. প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য: • Gen Z হল প্রথম প্রজন্ম যারা জন্ম থেকেই ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে। • এদের বলা হয় Digital Natives (ডিজিটাল-প্রাকৃতিক)। • Facebook, Instagram, YouTube, TikTok, Snapchat, WhatsApp – এসব প্ল্যাটফর্ম এদের জীবনের অংশ। ৪. শিক্ষাগত ও মানসিক বৈশিষ্ট্য: • তথ্য জানার জন্য বইয়ের বদলে বেশি ব্যবহার করে গুগল ও ইউটিউব। • মনোযোগের সময়কাল তুলনামূলকভাবে ছোট (short attention span), তবে একসাথে অনেক তথ...

তিনবিঘা থেকে শিলিগুড়ি করিডর: সীমান্তে নতুন আগুন, নিরাপত্তায় শৈথিল্য

                                                                    সাধন কুমার পাল     বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর চিকেন'স নেক অঞ্চলটি  নতুন করে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়  রাজ্যগুলিকে(সেভেন সিস্টারস) "স্থলবেষ্টিত" বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে এই অঞ্চলে  "সমুদ্র পথে  প্রবেশের নিরিখে অভিভাবক" হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।  ভারতের আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হল, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিলিগুড়ি করিডরের কাছে লালমনিরহাটে ব্রিটিশ আমলের বিমান ঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চীনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে লালমুনিরহাট বিমান ঘাঁটির কাজ ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে শুরু হতে পারে, যেখানে একটি পাকিস্তানি কোম্পানি উপ-ঠিকাদার হিসেবে থাকবে। ভারত-ভ...

শিক্ষকদের কান্নায় কি ডুববে মমতার সিংহাসন?"

                                                   সাধন কুমার পাল     ত্রিপুরায় তখন রক্তমাখা লাল রাজত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ছিলেন সিপিএমের মানিক সরকার, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘সাদামাটা মুখ্যমন্ত্রী’ নামে। ২০১০ এবং ২০১৩ সালে বাম সরকারের আমলে ১০,৩২৩ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন কিছু প্রার্থী। আগরতলা হাই কোর্ট চাঞ্চল্যকর রায় দেয়—পুরো প্যানেল অবৈধ, বাতিল করতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় তৎকালীন সরকার, কিন্তু ২০১৭ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও হাই কোর্টের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়। এই রায়ের ঢেউ রাজনীতির ময়দানেও পড়ে। পরের বছর বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা হাতছাড়া হয় মানিক সরকারের। ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দেয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্...