সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রতিষ্ঠা দিবস গুলিয়ে দিয়ে এ রাজ্যকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে

👦👧👊👉👱

সাধন কুমার পাল ::গত ২৯ শে অগাস্ট 2023 মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন। এই বৈঠকে মমতার ভাতা জিবি কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ছাড়া কোন বিরোধী দলের সদস্যই উপস্থিত ছিলেন না।এই মিটিংয়ে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের বক্তব্য শুনলে মানুষের মনে হবে পশ্চিমবঙ্গ স্তাবকতার পশ্চিমবঙ্গে পরিণত হয়েছে। একজনও বললেন না ঐতিহাসিক তত্ত্বের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালিত হোক। কবি সুবোধ সরকার তো বলেই ফেললেন উনি নাকি ২০ জুন ,পশ্চিমবঙ্গ দিবস এই  শব্দ গুলোই শোনেন নি।সবাই মুখ্যমন্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে বলে গেলেন আপনি যা ঠিক করবেন আমরা সেটাকেই সমর্থন করব। 
পশ্চিমবঙ্গ কিভাবে তৈরি হয়েছিল তা বেশিরভাগ হিন্দু বাঙালির  অজানা। স্বাধীনতার পর দেশভাগের ষড়যন্ত্রীরা ক্ষমতায় থাকার জন্য পাঠ্যসূচি ভুক্ত ইতিহাস থেকে দেশভাগের সেই কলঙ্কময় বীভৎস ইতিহাস  তুলে দেওয়া হয়েছে।  সেজন্যই হিন্দু বাঙালি সর্বনাশ করেও কংগ্রেস বছরের পর বছর এ রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেছে, সেই জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো মরিচঝাঁপিতে হিন্দু বাঙালিকে হত্যা করে, দণ্ডকারণ্যের মতো অনুন্নত এলাকায় পশুর মতো জীবন যাপন করতে বাধ্য করেও বামপন্থীরা বছরের পর বছর এ রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেছে, মমতা ব্যানার্জি হিন্দু বাঙালির আবেগের সাথে জড়িত পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টানোর পরিকল্পনা করে  ইসলামিক বাংলাদেশের শ্লোগান জয়বাংলা এরাজ্যের শ্লোগানে পরিণত করেও বছরের পর বছর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারছে।হিন্দু বাঙালির আত্মবিস্মৃতি কে মূলধন করে যোগেন মন্ডলের মতোই  সংকীর্ণ ক্ষমতার রাজনীতির স্বার্থে এই সমস্ত দলগুলি অবিভক্ত ভারতের মুসলিম লীগের অসমাপ্ত এজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
   
সুরাবর্দি 

 অবশ্য নবান্নের বৈঠক সচেতন মানুষের হাসির খোরাক জুগিয়েছে। কারণ  পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যটির জন্মদিন এরা নিজেদের মতন ঠিক করছে। কেউ বলছে পহেলা বৈশাখ হোক জন্মদিন, কেউ বলছে রাখি বন্ধনের দিন হোক জন্মদিন, এরকম নানান মনগড়া প্রস্তাব নিয়ে সেদিন আলোচনা হয়েছে। অর্থাৎ এই রাজ্যটা যেন টুপ করে আকাশ থেকে পড়েছে। এর যেন কোন ইতিহাস নেই, কোন অতীত নেই, সবটাই যেন এরা নিজের হাতের তালুতে মন্ত্র দিয়ে গড়ে তুলেছে। কেউ কেউ বলেছে ২০ জুন তারিখটি নাকি পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটা বেদনার দিন। সত্যিই এটি একটি বেদনার দিন। তবে সেই বেদনা হিন্দুদের নয় সেই বেদনা মুসলিম লীগ ও পাকিস্তানপন্থীদের জন্য। কারণ ওরা চেয়েছিল সমস্ত বাংলাটাই পাকিস্তান ভুক্ত হয়ে যাক। সেদিন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ পূর্ববঙ্গের সাথে  বর্তমান পশ্চিমবঙ্গও যদি মিশে গিয়ে একটা অখন্ড বাংলা তৈরী হতো তাহলে আমরা যারা এখনো বাঙালি হিন্দু হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেই তাদের অবস্থাটা কি হতো? আমরা কোথায় আশ্রয় নিতাম?  বিহারে ?উড়িষ্যায়? না সেই দণ্ডকারণ্যে? সেই প্রশ্নের কোন উত্তর আপনাদের কাছে আছে? বামপন্থীরা, কংগ্রেসীরা এবং তৃণমূলীরা কোথায় রাজনীতি করতেন ? 
একবার বুকে হাত দিয়ে বলুন তো এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আপনাদের কাছে আছে কিনা। 

     এখানকার প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের অনেকেরই পূর্ববঙ্গে বাড়িঘর ছিল ? তারা তো সেখানটায় টিকতে পারল না,  বা তাদের পূর্বপুরুষরা সেখানে থাকা সাহস দেখায় নি। ও এখানে এসে আপনারা সব ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে গেছেন। সে তো আমরা যোগেন মন্ডল কে দেখেছি মুসলিম লীগের সাথে রাজনীতি করে পাকিস্তান তৈরি করে সেই পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী হয়েছিলেন ।পরে নিজের জীবন টুকু বাঁচাতে পাকিস্তান থেকে এসে কলকাতায় আশ্রয় নিতে হয়েছে ।সেদিন কলকাতাও যদি পাকিস্তানের ঢুকে যেত তাহলে যোগেন মন্ডল কোথায় আশ্রয় নিতেন? 
   এই বিশ্লেষণের জন্য খুব বেশি ঐতিহাসিক বা পণ্ডিত হওয়া দরকার নেই। এই পশ্চিমবঙ্গের তো বিস্তীর্ণ এলাকা এখন হিন্দু শূন্য হতে চলেছে।  আপনারা যে সর্বনাশা রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টি করেছেন তাতে আপনারা ইসলামাইজেসনের এই ধারা  রোধ করতে পারবেন না, যতই ক্ষমতার বড়াই করুন না কেন।
১৯৪৬ সালের নির্বাচনে একমাত্র বাংলা প্রদেশেই মুসলিম লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সুরাবর্দী । তখন থেকেই সুরাবর্দি সম্পূর্ণ বাংলাকে পাকিস্তানের নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। এটাই ছিল মুসলিম লীগের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
ভয় দেখিয়ে হিন্দুদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৪৬ এর ১৬ই আগস্ট প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় রেখে সুরাবর্দী কলকাতার বুকে ভয়ংকর হিন্দু হত্যা শুরু করেছিলেন। যা এখন ইতিহাসের পাতায় গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং নামে পরিচিত। কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু ও নমঃশূদ্র নেতা যোগেন মন্ডল কে পাশে বসিয়ে সুরাবর্দী  কলকাতা শহীদ মিনারের জনসভা থেকে হিন্দু হত্যার ডাক দিয়েছিলেন।
গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঠার নেতৃত্বে সেদিন সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে হিন্দুরা। পালটা মারে পিছু হটে  সুরাবর্দীর ঘাতক বাহিনী। কলকাতায় ব্যর্থ হয়ে মুসলিম লীগের হার্মাদ বাহিনী ওই বছরে10 অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন নোয়াখালীতে  হিন্দু নিধনযজ্ঞ শুরু করে। ইতিহাসের পাতায় যা নোয়াখালীর দাঙ্গায় হিসেবে পরিচিত। পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের পর শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। সমস্ত জায়গাতেই নিষ্ক্রিয় থাকে মুসলিম লীগ পরিচালিত সরকারের পুলিশ। হিন্দু জনগণ ও হিন্দু রাজনীতির নেতারা সেদিন বুঝে গিয়েছিলেন যে হিন্দু মুসলিম আর একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বাঙালি হিন্দুদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবি তোলেন। কংগ্রেস নেতা কিরণশঙ্কর রায় ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের দাদা শরৎচন্দ্র বসু অনেকটা মুসলিম লীগের ধাঁচেই দাবি করেন অখন্ড বাংলা নিয়ে একটি আলাদা দেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু এই দাবি হিন্দু নেতারা মেনে নেয়নি কারণ তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অখণ্ড বাংলার শাসন ক্ষমতা থাকবে মুসলমানদের হাতেই। সেক্ষেত্রে এই ধরনের অখন্ড বাংলায় হিন্দুদের ভবিষ্যৎ কোনভাবেই সুরক্ষিত থাকতে পারে না। তাই সেদিন হিন্দু বাঙালিরা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দাবি কেই সমর্থন জানিয়েছিলেন।

১৯৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার দিকে এগোচ্ছে সেসময় হুগলি জেলার তারকেশ্বর হিন্দু মহাসভার সম্মেলন হয়। বিষয়বস্তু ছিল হিন্দু অধ্যুষিত জেলাগুলিকে নিয়ে একটি পৃথক রাজ্য গঠন করা যা থাকবে ভারতের মধ্যে। সেদিন কংগ্রেস কমিউনিস্ট এবং অন্যান্য নির্দলীয় হিন্দু রাজনৈতিক নেতারাও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু মহাসভার এই দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। অবশেষে স্থির হয় আইন সভায় মোটামুটি মাধ্যমে ঠিক হবে অখন্ড বাংলা ভেঙে হিন্দু বাঙালির জন্য একটি রাজ্য হবে কিনা। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন সেই ঐতিহাসিক দিন যেদিন বাংলার আইন সভায় সেই ভোটাভুটি সম্পন্ন হয়। সেদিন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সমস্ত বাঙালি হিন্দু রাজনৈতিক নেতা তাদের ঐক্য প্রদর্শন করেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তারা ভোট দেন হিন্দু বাঙালির পৃথক রাজ্যের পক্ষে। পৃথক রাজ্য গঠনের পক্ষে ভোট পড়ে ৫৮ টি আর মুসলিম লীগের সমস্ত বিধায়ক ভোট দেন বাংলাকে অখন্ড রেখে পাকিস্তানের নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। সেই পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র 21 টি। এখানে উল্লেখ্য পরবর্তীকালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু ,সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মীয় হেমন্ত বসুরাও সেদিন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আহবানে সাড়া দিয়ে ভোট দিয়েছিলেন পৃথক পশ্চিমবঙ্গ গঠনের পক্ষে।
👉👉পড়তে হলে ক্লিক করুন আত্মঘাতি বাঙালির বিস্মৃতির অতলে ২০ জুন,পশ্চিমবঙ্গ দিবস 👈👈
এভাবেই বাঙালি হিন্দুর জন্য পৃথক রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের পটভূমি তৈরি হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ববঙ্গ চলে যায় পাকিস্তানের দখলে। সেই পূর্ববঙ্গ বর্তমান বাংলাদেশ এখনও হিন্দুর বধ্যবুমি হয়ে হিন্দু শূন্য হতে চলেছে। অবশ্য মমতা ব্যানার্জি দের ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য এই পশ্চিমবঙ্গেও এখন আর হিন্দুদের নিরাপদ আশ্রয় নয়। সেদিন যে ২১ জন বিধায়ক অখণ্ড বাংলার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন তাদের নামগুলো উল্লেখ করছি, আবুল আহাদ, এ এফ এম আব্দুর রহমান, আব্দুস সবুর খান, হুসণ আরা বেগম, ইলিয়াস আলী মোল্লা, এম এ এইচ ইম্পাহানি, জসীমউদ্দীন আহমেদ, মোঃ শরিফ খান, মোজাম্মেল হোসেন, মোহাম্মদ করুউদ্দিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোঃ রফিক, সৈয়দ মোহাম্মদ সাদ্দিক, মোশারফ হোসেন, কে নুরুদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, এইচ এস সুরাবর্দি, এ এম এ জাহান, মুদাসীর হোসেন, আব্দুল ওয়াহিদ সরকার। এখানে যে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হলো এরা সবাই পশ্চিমবঙ্গ তৈরির প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ভারতে বসেই প্রত্যক্ষভাবে ভারত বিরোধীতা করছিলেন। আর বর্তমানে মমতা ব্যানার্জিরা ওদের সুরে সুর মিলিয়েই হিন্দু বাঙালির সুরক্ষার জন্য তৈরি হওয়া পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করতে চাইছেন। আর মমতা অনুগামী পোষা বুদ্ধিজীবীরা বলছেন ২০ জুন বেদনার দিন। এই ইতিহাস পড়ে পাঠক ঠিক করবেন যে ২০ জুন বেদনার দিন কাদের জন্য, পাকিস্তানপন্থী মুসলিম লীগের ঘাতকদের জন্য না শান্তিপ্রিয় হিন্দুদের জন্য?
👉👉হিন্দু বাঙালির পিঠে ছুড়িকাঘাত করে মমতা ব্যানার্জী ও বামপন্থীদের এনআরসি বিরোধীতা কার স্বার্থে?👈👈
 পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন যে ৫৮ জন হিন্দু বাঙালি বিধায়ক, তাঁরা হলেন-

গোবিন্দলাল ব্যানার্জি, প্রমথ নাথ ব্যানার্জি, শিবনাথ ব্যানার্জি, সুশীল কুমার ব্যানার্জি, সুরেশ চন্দ্র ব্যানার্জি, মোহিনী মোহন বর্মন, হেমন্ত কুমার বসু, জ্যোতি বসু, চারু চন্দ্র ভাণ্ডারী, সতীশ চন্দ্র বসু, রতনলাল ব্রাহ্মণ, মিহির লাল চট্টোপাধ্যায়, অন্নদা প্রসাদ চৌধুরী, বীণা দাস, রাধা নাথ দাস, সারে উদয় চাঁদ মহতাব, নিকুঞ্জ বিহারী মাইতি, বিষাপতি মাঝি, ভূপতি মজুমদার,ঈশ্বর চন্দ্র মাল, আশুতোষ মল্লিক, অন্নদা প্রসাদ মন্ডল, বন্ধুবিহারী মণ্ডল, কৃষ্ণ প্রসাদ মণ্ডল, শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি, ধীরেন্দ্র নারায়ণ মুখার্জি, কালীপদ মুখার্জি, মুকুন্দ বিহারী মল্লিক, বাসন্তী লাল মুবারকা, খগেন্দ্র লাল দাশগুপ্ত, কানাই লাল দাস, কানাই লাল দে, হরেন্দ্র নাথ দলুই, সুকুমার দত্ত, নীহরেন্দু দত্ত মজুমদার, বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি, অরবিন্দ গয়েশ, এ কে ঘোষ, বিমল কুমার ঘোষ, ডি গোমেস, ডম্বর সিংহ গুরুং ঈশ্বর দাস জানান, দেবী প্রসাদ খৈতান, চারু চন্দ্ৰ মোহান্তি, অর্ধেন্দু শেখর নস্কর, যাদবেন্দ্র নাথ পাঁজা, এল আর পেটনি, আর ই জেটল, আনন্দী লাল পোদ্দার, রজনী কান্ত প্রামাণিক, কমল কৃষ্ণ রায়, যোগেশ্বর রায়, শ্রীমতি ই এম রিকেটস, রজেন্দ্র নাথ সরকার, দেবেন্দ্র নাথ সেন, বিমল চন্দ্র সিংহ, জিসিডি উইলকিস।
👉👉পশ্চিমবঙ্গে' জয় বাংলা'!! ইসলামিক বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান এ রাজ্যে কেন ?👈👈
20 জুন পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য। এই ঐতিহাসিক সত্য   অস্বীকার করে, যারা সেই মুসলিম লীগের ভাবনাকে সাঁতার করার প্রয়াস করছে, বর্তমান প্রজন্ম কে ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য যারা নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন বানাতে চাইছে, তাদের দূরভিসন্ধি ব্যর্থ করতেই হবে। কিন্তু আত্মবিস্মৃত বাঙালি হিন্দুর ভোটে নির্বাচিত ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়ে আবার এক সর্বনাশা পরিস্থিতি তৈরীর জন্য   বিদ্যালয় পাঠ্য ইতিহাসের পাতা থেকে বাদ দিয়েছে এই ঘটনাকে। সে জন্যই পশ্চিমবঙ্গ  কিভাবে তৈরি হয়েছিল তা জানেনা বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গবাসী। আসুন, তাই আজ আমরা স্মরণ করি সেই 58 জন বীর যোদ্ধাকে যাঁদের ভোটে তৈরি হয়েছিল আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গ ।যা হিন্দু বাঙালির একমাত্র আশ্রয়স্থল। ## 


মন্তব্যসমূহ

  1. বাঙালির মধ্য কি চাটুকারিতা এতোই বেড়েছে যে,রাজ্যর জন্ম বা প্রতিষ্ঠার দিন পর্যন্ত বদলে দিতে চাইছে।

    সত্য তথ্য দ্বারা এ কলাম উপস্থাপন করা হয়েছে।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভারতের প্রথম "Gen Z Movement"

          লিখেছেন :: সাধন কুমার পাল Gen Z বা  Generation Z  হল সেই প্রজন্ম যারা মূলত ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে (কিছু গবেষক ১৯৯৫–২০১০ বা ২০০০–২০১৫ পর্যন্তও ধরে নেন)। অর্থাৎ, এই প্রজন্মের মানুষদের বর্তমান বয়স আনুমানিক ১২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। ২. নামকরণের কারণ: • Baby Boomers  (১৯৪৬–১৯৬৪) • Generation X  (১৯৬৫–১৯৮০) • Millennials  বা  Gen Y  (১৯৮১–১৯৯৬) • তার পরবর্তী প্রজন্মকে বলা হয় Gen Z। "Z" অক্ষরটি এসেছে ধারাবাহিকতার কারণে। ৩. প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য: • Gen Z হল প্রথম প্রজন্ম যারা জন্ম থেকেই ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে। • এদের বলা হয় Digital Natives (ডিজিটাল-প্রাকৃতিক)। • Facebook, Instagram, YouTube, TikTok, Snapchat, WhatsApp – এসব প্ল্যাটফর্ম এদের জীবনের অংশ। ৪. শিক্ষাগত ও মানসিক বৈশিষ্ট্য: • তথ্য জানার জন্য বইয়ের বদলে বেশি ব্যবহার করে গুগল ও ইউটিউব। • মনোযোগের সময়কাল তুলনামূলকভাবে ছোট (short attention span), তবে একসাথে অনেক তথ...

তিনবিঘা থেকে শিলিগুড়ি করিডর: সীমান্তে নতুন আগুন, নিরাপত্তায় শৈথিল্য

                                                                    সাধন কুমার পাল     বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর চিকেন'স নেক অঞ্চলটি  নতুন করে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়  রাজ্যগুলিকে(সেভেন সিস্টারস) "স্থলবেষ্টিত" বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে এই অঞ্চলে  "সমুদ্র পথে  প্রবেশের নিরিখে অভিভাবক" হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।  ভারতের আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হল, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিলিগুড়ি করিডরের কাছে লালমনিরহাটে ব্রিটিশ আমলের বিমান ঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চীনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে লালমুনিরহাট বিমান ঘাঁটির কাজ ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে শুরু হতে পারে, যেখানে একটি পাকিস্তানি কোম্পানি উপ-ঠিকাদার হিসেবে থাকবে। ভারত-ভ...

শিক্ষকদের কান্নায় কি ডুববে মমতার সিংহাসন?"

                                                   সাধন কুমার পাল     ত্রিপুরায় তখন রক্তমাখা লাল রাজত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ছিলেন সিপিএমের মানিক সরকার, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘সাদামাটা মুখ্যমন্ত্রী’ নামে। ২০১০ এবং ২০১৩ সালে বাম সরকারের আমলে ১০,৩২৩ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন কিছু প্রার্থী। আগরতলা হাই কোর্ট চাঞ্চল্যকর রায় দেয়—পুরো প্যানেল অবৈধ, বাতিল করতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় তৎকালীন সরকার, কিন্তু ২০১৭ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও হাই কোর্টের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়। এই রায়ের ঢেউ রাজনীতির ময়দানেও পড়ে। পরের বছর বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা হাতছাড়া হয় মানিক সরকারের। ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দেয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্...