১৯১২ সালের ১০এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। সে সময় টাইটানিক নির্মাতাদের দাবী ছিল এই জাহাজ কখনোই ডুবে যাওয়া সম্ভব নয়। টাইটানিকের প্রথম যাত্রায় সফর করা ছিল স্বপ্নের মতো ব্যাপার। টাইটানিকের প্রথম যাত্রার জন্য টিকিট বুকিং চলছিল। একজন স্কটিশ কৃষক সে তার সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ওর পাঁচ ছেলেমেয়ে ও স্বামী স্ত্রী এই সাতজনের টিকিট বুক করে। এরপর এরপর অধীর আগ্রহে যাত্রা শুরুর অপেক্ষা করতে থাকে। টাইটানিকের যাত্রা শুরুর সাত দিন আগে ওদের পোষা কুকুর ওদের পাঁচজনের মধ্যে পাঁচ সন্তানের মধ্যে একজনকে কামড় দেয়। সেই কৃষকের স্ত্রী পরামর্শ দেয় যে সেই সন্তানের দেখাশোনার জন্য উনি টাইটানিকের সফর করবেন না। আরো পরামর্শ দেয় সেই চার সন্তান নিয়ে যেন কৃষক টাইটানিকের আনন্দ সফরে যায়।
এরপর কৃষক অনেক ভাবল শেষে সিদ্ধান্ত নিল যে এরকম অসুস্থ সন্তানকে ছেড়ে তিনিও টাইটানিক সফরে যাবেন না। অত্যন্ত মন খারাপ হলো কারণ সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে টিকিট কেটেছেন সেই টিকিটের পয়সা ফেরত পাওয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না। মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। টাইটানিকের যাত্রা শুরুর দিন চার সন্তানকে নিয়ে সেই কৃষক সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এতগুলো টাকা খরচ করে যেতে না পারার জন্য সেদিন ওর চোখ দিয়ে জল পরছিল। ঠিক পাঁচদিন বাদে ১৫ ই এপ্রিল সারা পৃথিবী জানতে পারলো হিমবাহের সাথে ধাক্কায় টাইটানিক ডুবে গিয়েছে। ২২০০ জনের মধ্যে সেদিন মাত্র সাতশ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। যে কুকুরকে সেই কৃষক ৫ দিন ধরে গালি দিচ্ছিলেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ি ফেরার পর সেই কুকুরকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মতন আদর করতে শুরু করেছিলেন। সেই জন্য ঈশ্বর কার জন্য কি মায়াজাল বিছিয়ে রেখেছে এটা বলা মুশকিল। তবে যা ঘটে তা মঙ্গলের জন্যই ঘটে।##
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন