সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আত্মনির্ভর ভারত সেকাল একাল

                                                  সাধনকুমার পাল   ১৫৯ বছরে এ এক অন্য ২৫শে বৈশাখ , লকডাউনে রবীন্দ্রজয়ন্তী।২৫ বৈশাখ , কবিগুরুর জন্মদিন।তবে ২০২০ - তে সেই চেনা ছবি আর ধরা দিল না। দীর্ঘ ১৫৯ বছরে এ এক অন্য সকাল। নেই কোনও আড়ম্বর , নেই শয়ে শয়ে ভক্তের ভিড়। বন্ধ রাস্তা পথঘাট।যে কবি চার দেওয়ালের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কথা বলে গিয়েছেন , সেই কবিগুরু স্মরণ এবার কোয়ারেন্টাইনে। জানি না কবি কখনো আমাদের মতো এরকম লকডাউনে ছিলেন কিনা।তবে এই চীনা ভাইরাস অতিমারীর আবহে বর্তমান প্রজন্মের মানসিক যন্ত্রনা নিংড়ানো ভাষা হয়তো উপনিষদের ঋষির মতো কবির উপলব্ধিতে ধরা দিয়েছিলো।সেই উপলব্ধি থেকেই হয়তো তিনি লিখে ছিলেন ' সভ্যতার প্রতি ' শিরোনামে কয়েকটি পঙ্ তি - ' দাও ফিরে সে অরণ্য , লও এ নগর , লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর হে নবসভ্যতা ! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী , দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি , গ্লানিহীন দিনগুলি , সেই সন্ধ্যাস্নান , সেই গোচারণ ...

লকডাউনের সময় আর্তের সেবায় আরএসএস

                                                    সাধন কুমার পাল-  সোসাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে করোনা সংক্রমনের জেরে হওয়া লকডাউনের সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা নিজের জীবন বিপন্ন করে ডাক্তার , নার্স , পুলিশ কর্মী , প্রশাসনিক কর্তাদের মতো করোনা যোদ্ধাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরন্তর জন সেবা নিয়োজিত রয়েছে।কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি স্থানে এক লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক স্থানীয় প্রয়োজন অনুসারে যেমন পরিস্কার পরিছন্নতা , মাস্ক - সেনিটাইজার - সাবান বিতরণ , সচেতনতা কর্মসূচী চালানো , দুস্থ মানুষের দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা , অসুস্থদের ঔষধ পৌঁছে দেওয়া , ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের যোগান দেওয়া , অসহায় মানুষদের চাল ডাল তেল নুন পৌছে দেওয়া , বয়স্ক অশক্তদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র পৌছে দেওয়ার মতো বহুমুখী কাজে যুক্ত রয়েছে। সঙ্ঘের সরকার্যবাহ ভাইয়াজী যোশীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে সারা ভারতবর্ষে দশ লক্ষের বেশি পরিবার এই সেব...
                              ঠাকুর পঞ্চানন বার্মা (১৮৬৬ –১৯৩৫)  ঠাকুর পঞ্চানন ও রায় সাহেব নামে পরিচিত   ছিলেন , রাজবংশী নেতা ও হিত সাধক এবং তৎ কালিন কুচবিহার রাজ‍্য সহ আসাম ও বাংলার  সমাজ সংস্কারক ।  তিনি  সনাতন হিন্দু সমাজের বর্ণ বিদ্বেষ কে প্রতিহত করে শক্তিশালি হিন্দু সমাজ গরতে মুখ্য ভূমিকা গ্ৰোহন করেছিলেন । এই অঞ্চলের সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ও তাঁর নিজস্ব বর্ণের মানুষের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যিক মূল্যবোধ ও অনুশীলনে সচেষ্ট ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল পঞ্চানন সরকার, পিতার নাম শ্রী খোশল চন্দ্র সরকার ও মাতার নাম শ্রীমতি চম্পলা সরকার।তিনি ১১ই ফেব্রয়ারি ১৮৬৬ সালে কুচবিহার রাজ‍্যের মাথাভাঙ্গার খলিশামারি গ্ৰামের এক রাজবংশী জোতদার পরিবারে জন্ম গ্ৰোহন করেছিলেন।  তিনি ১৮৯৩ সালে কোলকাতা কলেজ থেকে সংস্কৃত ওনার্স নিয়ে স্নাতক করেন।পরে প্রাইভেটলি মেন্টাল এন্ড মোরাল ফিলোসফি ১৮৯৬ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ‍্যালয়ে এম. এ. , পরবর্তিতে সুরেন্দ্রনাথ ল্ কলেজ  , কোলকাতা থেকে এল.এল.বি. ডিগ্ৰী ১৯০০ স...

বাঙ্গালি হিন্দুর হোমল্যান্ডের চাবি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে এন আর সি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরই বিভিন্ন সময়ে জলপাইগুড়ি, মালদা, গাজল শহরেও অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এই পাঁচটি সভাকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ ও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এই প্রতিবেদক ও রন্তিদেব সেনগুপ্ত বক্তা হিসেবে এই পাঁচটি সভাতেই উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকটি আলোচনা সভার শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেই প্রশ্নোত্তর পর্ব যেন এখনো শেষ হয়নি, প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন নাগরিক কার্যক্রমে তো বটেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (সিএবি) এবং এন আর সি নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষের কাছ থেকে যে সমস্ত প্রশ্ন আসছে সেগুলি থেকে বাছাই করা কিছু প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নোত্তরে সিএবি তুলে ধরার প্রয়াস করা হলো। কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কিনাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৬ এবং এনআরসি চালুর কথা বলে দেশ জুড়ে একটি অস্থিরতা তৈরি করল না? বিশেষ করে দেশভাগের পর ভারতে এসে বছরের পর বছর ধরে নিশ্চিন্তে বসবাসকারী হিন্দুদের নতুন করে উদ্বাস্তুর তকমা দিয়ে বিপদে ফেলে দিল না? উত্তর : দেশভাগের পর লক...

নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নাগরিকত্ব আইনকে রদ করা যাবে না

সরকারি অর্থে বিজ্ঞাপন দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার করছেন তিনি পশ্চিমবঙ্গে এন আর সি ও নাগরিকত্ব আইন লাগু হতে দেবেন না। মেঠো রাজনীতিতে তিনি এরকম হুঙ্কার ছাড়তেই পারেন। কারণ রাজনীতির ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা খুশি তাই বলার পরিবেশ তৈরি করে নিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ ব্যাপারে সংবিধান কী বলছে? সংবিধান নাগরিকত্ব, প্রতিরক্ষা এই সমস্ত ব্যাপারে কোনোরকম সিদ্ধান্ত ও তা কার্যকর করার অধিকার একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারকেই দিয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের নির্দেশ রাজ্য সরকার লাগু করতে বাধ্য। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও অষ্টম লোকসভার সেক্রেটারি সুভাষ কাশ্যপের মতে সংবিধানের ১১ নম্বর ধারায় স্পষ্ট করে বলা রয়েছে যে নাগরিকত্ব ও এই সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় সংসদের এক্তিয়ারে পড়ে। আইন তৈরি করতে পারে একমাত্র সংসদ। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনো ক্ষমতাই নেই। আইন তৈরি হয়ে গেলে সেই আইন না মানার কোনো অধিকারই নেই রাজ্যের। নাগরিকত্ব আইন লাগু করতেই হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সংসদে পাশ হওয়া এই আইন বলবৎ করার অধিকার একমাত্র কেন্দ্রের। রাজ্যসরকার এই আইন লাগু করতে অস্বীকার করলে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। লোকসভা ও দি...