সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আত্মঘাতি বাঙালির বিস্মৃতির অতলে ২০ জুন,পশ্চিমবঙ্গ দিবস

                      সাধন কুমার পাল        ২০শে জুন , পশ্চিমবঙ্গ দিবস। সেটা আবার কি ধরণের দিবস ? আমাদের অনেকেই জানি না , কারণ এই ইতিহাসটা পরিচিত ইতিহাসের মধ্যে পরে না । ১৯৪৭ সালের মার্চ মাস নাগাদ জিন্নার প্রবল ইচ্ছাশক্তি কাছে পরাজয় স্বীকার করে , মাউন্টব্যাটেনের কূটনীতি র জালে ফেঁসে ক্ষমতার লোভে  মোহগ্রস্থ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ ভারত ভাগ স্বীকার করে নিলেন। একবার ভেবে দেখলেন না , সীমান্তের ওপারে ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানে যে সব হিন্দু - শিখ - বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান তাদের কি হবে | সে সময় অবিভক্ত বাংলা ছিল ৫৫ % মুসলিম , ৪৫ % হিন্দু। মুসলিম লীগ দাবি তুলল যে গোটা বাংলাই পাকিস্তানকে দিতে হবে। এটা হলে আসামও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত এবং কালক্রমে সেটাও পাকিস্তানে চলে যেত। কিন্তু এই চক্রান্ত বিফল হল শুধু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের    জন্য। তিনি তাঁর বিশাল রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন ইসলামী পাকিস্তান হিন্দুদের জন্য ন...

নারদজয়ন্তী :সাংবাদিকতায় মানব কল্যানের বার্তাবাহক

সাধনকুমার পাল:::আদিসাংবাদিক দেবর্ষি নারদের জন্মজয়ন্তীতে সেই সমস্ত সাংবাদিক স্মরনীয় হয়ে উঠেন যারা নিজের জীবন দিয়ে সত্য প্রকাশের অঙ্গীকার রক্ষা করে গেছেন।একটি রিপোর্ট বলছে ১৯৯২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বজুরে ১৯০০ জন সাংবাদিক কে হত্যা করা হয়েছে।এর মধ্যে ভারতের ৭৮ জন সাংবাদিক রয়েছেন। এই ৭৮ জনের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু ভয়ানক,৩৪ জনকে মেরে ফেলা হয়েছে,বাকি ৩০ জনের মৃত্যু কেমন করে হয়েছে তা এখনো অজানা।২০১৮ সালে সিপিজে(Committee to protect Journalist)সাংবাদিক হত্যায় দোষীদের শাস্তি না হওয়ার নিরিখে সবচেয়ে নিচের সারিতে থাকা বিশ্বের ১৫টি দেশের যে তালিকা করেছে তাতে ভারতের স্থান ১৪।গত ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ছত্রিশগড়ের দান্তেওয়ারায় মাওবাদীদের গুলিতে দু জন সিআরপিএফ জওয়ানের সাথে মৃত্যু হয় দুরদর্শনের ক্যামেরাম্যান অচ্যুতানন্দ সাহুর।অচ্যুতানন্দ সাহুর জীবনের অন্তিম রিপোর্টিং সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।তাতে দেখা যাচ্ছে মৃত্যুর অন্তিম মূহূর্তে একটু জলের জন্য কাতর আবেদন করেও মাওবাদীদের তরফে কোন সাড়া মেলেনি। মাওবাদীরা স্থানীয় ভাষায় সাংবাদিকদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যুর পর যারা পথে নেমে ছিলেন,আরবান নক...

সরস্বতী মানব সভ্যতার দেবী

সাধনকুমার পাল:: মানব সভ্যতার ইতিহাসে একমাত্র ভারতেই শিক্ষার উদ্দেশ্যর ব্যপকতা অতুলনীয়।এই উদ্দেশ্য প্রাপ্তির পথকে সুগম করার জন্য এই শিক্ষা প্রক্রিয়ার সাথে জুরে দেওয়া হয়েছে সরস্বতী পূজো ও বন্দনার মতো কিছু আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া। শিক্ষার এই উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া শুধু ভারতীয়দের কিংবা হিন্দুদের জন্য নয় , মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়া পৃথিবীর সবার জন্য। সরস্বতী শব্দের অর্থ এবং এই দেবীর পূজো ,বন্দনায় ব্যবহৃত মন্ত্রের অর্থ বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে কোন ধর্ম বর্ণ বা সম্প্রদায় নয় প্রজ্ঞার আলোকে আলোকিত ঋষিদের অনুভুত অধ্যাত্ম বিজ্ঞানের চরম সত্যের বহি:প্রকাশ ঘটেছে এই সমস্ত মন্ত্র ও লৌকিক ক্রিয়াকলাপে। সে জন্য শুধু হিন্দু শাস্ত্রেই নয়, জ্ঞান স্বরূপ বাগদেবীকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রূপে আরাধনা করা হয়। বিশেষত, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিদ্যার দেবী হিসাবে বন্দনা করা হয় মা সরস্বতীকে।একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে মা সরস্বতী কি কি রূপে পূজিত হন। মায়ানমার বা বার্মা: মায়ানমার বা বার্মায় জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী হিসাবে পূজিত হন দেবী সরস্বতী। তবে দেবী সরস্বতী এখানে থুরাথাডি নামে পরিচিতা। ...

দেশের শত্রুদের সুবিধা করতেই কি বিএসএফকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি?

সাধনকুমার পাল ::খবর খাওয়াতে হবে ? তাহলে ভোটের রঙ মেখে দাও। আর ক্ষমতাসীন দলের রঙে রাঙিয়ে দিতে পারলে তো একেবারে কেল্লা ফতে ! ষোলকলা পূর্ন। গত ১১ অক্টোবর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও পাঞ্জাব এই তিনটি রাজ্যে বিএসএফের অধিকার ক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করেছে। প্রত্যাশা মতোই এই সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছে সার্জিক্যাল স্টাইক নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে প্রমাণ চাওয়া পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।কারণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতারাই মূলত গরু পাচার নেশাদ্রব্যের পাচার থেকে শুরু করে যাবতীয় অবৈধ কাজ কর্ম নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন । সীমান্ত এলাকা ক্ষমতাসীন দলের কাছে যেন সোনার খনি। এই সোনার খনি দখলের জন্য শুধু দুস্কৃতিদের দলীয় কোন্দল নয় ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেও নিত্য অশান্তির ঘটনা লেগেই থাকে।        যেমন গত ১১ অক্টোবর এই সোনার খনি দখলের লড়াইয়ে কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার গীতালদহের মরার কুটি গ্রামে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জন্য উত্তপ্ত...

বিজয়া দশমীতে শস্ত্রপূজন তাৎপর্যপূর্ণ

সাধন কুমার পাল 1. পুরাণে কথিত আছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ও ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে জয় লাভ করেন দেবী দুর্গা। সেই জয়কেই চিহ্নিত করে বিজয়া দশমী। তবে উত্তর ও মধ্য ভারতে এই দিনে যে দশেরা উদযাপিত হয়, তার তাৎপর্য ভিন্ন। বাল্মীকি রচিত রামায়ণে কথিত আছে, আশ্বিন মাসের শুক্লা পক্ষের দশমী তিথিতেই নাকি রাবনকে বধ করেছিলেন শ্রী রামচন্দ্র। তাই এই দিনটিকে দশেরা বা দশহরা হিসেবে পালন করেন উত্তর ও মধ্য ভারতের মানুষ।   2. শাস্ত্রজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সংস্কৃত ‘দশ’ শব্দের অর্থ সূর্যের অনুপস্থিতি এবং ‘হর’ শব্দটির অর্থ ‘পরাজয়’। লঙ্কাধিপতি রাবণের সাম্রাজ্যের সূর্যাস্তকে বোঝাতে দশহরা বা দশেরা বলা হয়। একই সঙ্গে ‘বিজয়া দশমী’ দুর্গার হাতে মহিষাসুরের পরাভবকেও ব্যক্ত করে। মহিষাসুরই হোক বা রাবণ-- এই দিনটি আসলে অশুভ শক্তির পরাজয়কে মনে করায়।  3. দশহরা শব্দটি এসেছে সংস্কৃত থেকেও। দশ + অহ = দশারহ = দশহরা। ‘অহ’ শব্দের অর্থ দিন। ৯ রাত্রি ১০ দিন ধরে অবিরাম লড়াইয়ের পর দুর্গা দশম দিনে মহিষাসুরকে বধ করেন। সুতরাং এই দিন দেবীর জয়ের দিন। সে জয় ভারতবাসী উদ্‌যাপ...

ভারতে আরএসএসের ১০ টি অবদান'

  ভারতে আরএসএসের ১০ টি অবদান জ্ঞানেন্দ্র নাথ বারতারিয়া সিনিয়র সাংবাদিক , বিবিসি হিন্দি ডটকমের জন্য ২২ অক্টোবর ২০১৫ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ 90 বছর পূর্ণ করেছে। 1925 সালে , দশেরার দিন , Dr. কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যদিও কমপক্ষে ৮ দশক ধরে সঙ্ঘ কে , একটি সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী , ফ্যাসিস্ট এবং অন্যান্য অনুরূপ সংগঠন হিসেবে সমালোচনা সহ্য ক রতে হয়েছে এবং শুন তে হয়ে ছে। পৃথিবীর খুব কমই কোনো সংগঠন কোন ভিত্তি ছাড়াই এত সমালোচিত হ য়েছে । সংঘের বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগই শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রমাণ হীন এবং মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। সন্দেহ নেই যে আজও অনেকে সংঘকে এই নেহরুভিয়ান দৃষ্টি দিয়ে দেখেন। যাইহোক , নেহেরু নিজেই জীবনে তার দৃষ্টিভঙ্গি সংশোধন করার একটি দু : খজনক সুযোগ পেয়েছিলেন , যখন 1962 সালে চীন ভারত আক্রমণ করেছিল। তখন দেশের বাইরে পঞ্চশীল ও গণতন্ত্র ইত্যাদির আদর্শের মশীহ জওহরলাল না নিজেকে সামলাতে পারতেন , না দেশের সীমানা। কিন্তু সঙ্ঘ তার কাজ করছিল।  সংঘের কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ 1) কাশ্মীর সীমান্তে নজরদারি , ...