সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

🎙️ বাংলার জনসংখ্যা সংকট : আমরা কোথায় যাচ্ছি?

  লিখেছেন :: সাধন কুমার পাল 🎙️ বাংলার জনসংখ্যা সংকট : আমরা কোথায় যাচ্ছি? 🟠সঙ্ঘ প্রধান    মোহন ভাগবতের সতর্কবার্তা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন—ভারতের প্রতিটি পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তান থাকা উচিত। প্রথমে শুনতে অদ্ভুত লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, কথাটার ভেতরে গভীর সংকেত আছে। 🟠 শহুরে বাঙালির বিপজ্জনক প্রবণতা আজকের শহুরে সমাজে দেরিতে বিয়ে হচ্ছে, সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা কমছে। পশ্চিমবঙ্গে মোট প্রজনন হার এখন মাত্র ১.৬, কলকাতায় তো আরও কম—১.২। প্রয়োজনীয় হার ২.১-এর অনেক নিচে। মানে আমরা দ্রুত বার্ধক্যগামী সমাজে ঢুকে যাচ্ছি। 🟠 প্রজন্ম সংকটের আসন্ন চিত্র এই প্রবণতার ফলে সমাজে বয়স্ক বাড়বে, তরুণ কমবে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমশক্তির অভাব হবে, অথচ স্বাস্থ্যসেবা ও বৃদ্ধ পরিচর্যার খরচ বাড়বে বহুগুণে। সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতাও ভেঙে পড়বে। 🟠 বিজ্ঞানীদের ভয় : “জিনগত ক্ষয়” সন্তানহীন সমাজে শুধু জনসংখ্যা কমে না, ঘটে  জিনগত ক্ষয় । মানে নতুন প্রজন্ম না থাকায় রক্তরেখা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল উত্তরাধিকার হারিয়ে যায়। সবচেয়ে ভয়ংকর হলো—যারা শিক্ষিত ও চিন্তাশীল, তারাই সন...

প্রতিস্থাপন হার” বা Replacement Rate

লিখেছেন::: সাধন কুমার পাল “প্রতিস্থাপন হার” বা Replacement Rate (fertility context-এ) বলতে বোঝানো হয়, প্রতি দম্পতি বা প্রতি নারীকে গড়ে কতজন সন্তান জন্ম দিতে হবে যাতে পরবর্তী প্রজন্মে জনসংখ্যা একই মাত্রায় বজায় থাকে। 👉 সাধারণত এই হারকে ধরা হয় ২.১ । • ২ শিশু প্রয়োজন বাবা-মা–কে প্রতিস্থাপন করার জন্য। • বাড়তি ০.১ রাখা হয় শিশু মৃত্যুহার, মাতৃমৃত্যু, এবং যেসব মানুষ সন্তান জন্ম দেয় না—তাদের জন্য সমন্বয় হিসাবে। 📌 অর্থাৎ, • যদি কোনো দেশের জন্মহার ২.১ -এর উপরে হয় → জনসংখ্যা বাড়বে। • যদি জন্মহার ২.১ -এর নীচে হয় → জনসংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। উদাহরণ: • ভারতে বর্তমানে Total Fertility Rate (TFR) প্রায় ২.০ -এর কাছাকাছি, মানে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হচ্ছে। • জাপান বা ইউরোপের অনেক দেশে TFR অনেক কম (প্রায় ১.৩–১.৬), তাই ওদের জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে। • পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক অবস্থা • সর্বমোট জন্মহার (TFR):  প্রায়  ১.৬–১.৭ , অর্থাৎ  প্রতিস্থাপন হারের নিচে । • হিন্দুদের মধ্যে TFR:  প্রায়  ১.৫–১.৬ । • মুসলিমদের মধ্যে TFR:  প্রায়  ২.০–২.২ । ...

শক্তি ও জ্ঞানের যুগলবন্দি: ভারতীয় ঐতিহ্যের শিক্ষা”

  লিখেছেন -- সাধন কুমার পাল  শাস্ত্র ছাড়া শস্ত্র নয়, শস্ত্র ছাড়া শান্তি নয় ” শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতার শেষ শ্লোকে  সঞ্জয় বলেন--- “यत्र योगेश्वरः कृष्णो यत्र पार्थो धनुर्धरः। तत्र श्रीर्विजयो भूतिर्ध्रुवा नीतिर्मतिर्मम।। অর্থাৎ যেখানে যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ, যেখানে ধনুর্ধর অর্জুন—সেখানেই সমৃদ্ধি, বিজয়, কল্যাণ এবং দৃঢ় নীতি প্রতিষ্ঠিত থাকবে। এই শ্লোকের গভীরে এক অমোঘ সত্য লুকিয়ে আছে—  সুখ-সমৃদ্ধির জন্য যেমন জ্ঞান, প্রজ্ঞা, উদ্যম অপরিহার্য, তেমনি দুষ্টদমন ও শান্তি রক্ষার জন্য প্রয়োজন শক্তি, প্রয়োজন অস্ত্র। অর্থাৎ,  শাস্ত্র (জ্ঞান) এবং শস্ত্র (শক্তি)-র সমন্বয়ই হলো পূর্ণাঙ্গ সমাজব্যবস্থার ভিত্তি। শস্ত্রের ব্যবহার শান্তি বিনষ্টের জন্য নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য—এই শিক্ষাই গীতার সার। ইসরায়েল : আধুনিক কালে শাস্ত্র ও শস্ত্রের সার্থক রূপ ভারতবর্ষ স্বাধীনতার পরে বহু ক্ষেত্রে নিজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে সরে গেছে। কিন্তু ছোট্ট দেশ ইসরায়েল জন্মলগ্ন থেকেই শাস্ত্র ও শস্ত্রের এই ভারসাম্যকে রাষ্ট্রনীতির ভিত্তি করেছে। ১৯৪৮ সালে যখন ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম...