সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক নিজেকে হিন্দু বলতে গর্ববোধ করেন

সাধন কুমার পাল::ইংরেজ ভারত ছাড়ার ৭৫ বছর হয়ে গেল। ৭৫ বছর পরেও এদেশে এমন মানুষদের পাওয়া যাবে যাদের কাছে স্বদেশের ঠাকুরের চেয়ে বিদেশের কুকুর অনেক বেশি মর্যদা সম্পন্ন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন ,এরা চেহারায় ভারতীয় হলেও মনন মানসিকতায় সাহেব। ঠিক যেমনটি মেকলে সাহেব তার প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে তৈরী করতে চেয়ে ছিলেন। শাসক ইংরেজেরা ইংরেজী শিক্ষার মাধ্যমে এদেশের গোমাতা-পূজক, প্রকৃতি-পূজক, হিন্দুদের হিন্দুত্বের মূল স্রোত থেকে সরিয়ে ইংরেজীআনার ধারক বাহক বানতে চেয়ে ছিল। মেকলে সাহেবরা এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেই দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়ে ছিল মেকলের ভারতীয় ভাবশিষ্যরা।হিন্দুত্ব সূচক যে কোন আচরণ বা চিহ্ন ওদের কাছে সংঙ্কীর্ণতা সাম্প্রদায়িকতা।             তৈরি হল ইতিহাস,এবারের (২০২২) দীপাবলিতে ব্রিটেন পেল প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী।পুরোহিত ডেকে হাতে লাল সুতে বেঁধে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ডুকলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। মন্ত্রী সভা গঠন করে আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভুত সুরেলা ব্রেভারম্যানকে নিয়োগ ...

বিজয়া দশমীর বার্তা:অস্ত্র ধরা প্রয়োজন, অহিংসার আদর্শ বাঁচিয়ে রাখতে

সাধনকুমার পাল :  শ্রীমদ্ভগবত গীতার সর্বশেষ শ্লোকটি হল  'यत्र योगेश्वरः कृष्णो यत्र पार्थो धनुर्धरः।   तत्र श्रीर्विजयो भूतिर्ध्रुवा नीतिर्मतिर्मम 'অর্থাৎ যেখানে যোগেশ্বর  কৃষ্ণ, যেখানে ধনুর্ধর অর্জুন থাকবেন সেখানেই সমৃদ্ধি, বিজয়, সুখ এবং দৃঢ় নীতি আছে; এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এই শ্লোক থেকে এটা স্পষ্ট যে  সুখ সমৃদ্ধিপূর্ণ পরিপূর্ণ ব্যবস্থার  জন্য জ্ঞান প্রজ্ঞা বুদ্ধিমত্তা উদ্যমের যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি দুষ্টের দমনের জন্য প্রয়োজন অস্ত্রের। অর্থাৎ শস্ত্র এবং শাস্ত্রের সহাবস্থান প্রয়োজন।  শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য নয় শান্তি স্থাপনের জন্য শস্র হবে শাস্ত্র নিয়ন্ত্রিত । সাম্প্রতিক ঘটনা বলির পরিপ্রেক্ষিতে ইজরায়েলের দিকে তাকালে আমারা শস্ত্র ও শাস্ত্রের সার্বিক ভারসাম্যের বিষয়টি বুঝতে পারবো। ইসরায়েল রাষ্ট্রের যখন প্রতিষ্ঠা হয় , তখন সেখানে জল এবং উর্বর ভূমির সংকট ছিল।কৃষি - ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে একটি হাই - টেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে ইসরায়েল। অত্যাধুনিক স...

আত্মঘাতি বাঙালির বিস্মৃতির অতলে ২০ জুন,পশ্চিমবঙ্গ দিবস

                      সাধন কুমার পাল        ২০শে জুন , পশ্চিমবঙ্গ দিবস। সেটা আবার কি ধরণের দিবস ? আমাদের অনেকেই জানি না , কারণ এই ইতিহাসটা পরিচিত ইতিহাসের মধ্যে পরে না । ১৯৪৭ সালের মার্চ মাস নাগাদ জিন্নার প্রবল ইচ্ছাশক্তি কাছে পরাজয় স্বীকার করে , মাউন্টব্যাটেনের কূটনীতি র জালে ফেঁসে ক্ষমতার লোভে  মোহগ্রস্থ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ ভারত ভাগ স্বীকার করে নিলেন। একবার ভেবে দেখলেন না , সীমান্তের ওপারে ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানে যে সব হিন্দু - শিখ - বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান তাদের কি হবে | সে সময় অবিভক্ত বাংলা ছিল ৫৫ % মুসলিম , ৪৫ % হিন্দু। মুসলিম লীগ দাবি তুলল যে গোটা বাংলাই পাকিস্তানকে দিতে হবে। এটা হলে আসামও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত এবং কালক্রমে সেটাও পাকিস্তানে চলে যেত। কিন্তু এই চক্রান্ত বিফল হল শুধু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের    জন্য। তিনি তাঁর বিশাল রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন ইসলামী পাকিস্তান হিন্দুদের জন্য ন...

নারদজয়ন্তী :সাংবাদিকতায় মানব কল্যানের বার্তাবাহক

সাধনকুমার পাল:::আদিসাংবাদিক দেবর্ষি নারদের জন্মজয়ন্তীতে সেই সমস্ত সাংবাদিক স্মরনীয় হয়ে উঠেন যারা নিজের জীবন দিয়ে সত্য প্রকাশের অঙ্গীকার রক্ষা করে গেছেন।একটি রিপোর্ট বলছে ১৯৯২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বজুরে ১৯০০ জন সাংবাদিক কে হত্যা করা হয়েছে।এর মধ্যে ভারতের ৭৮ জন সাংবাদিক রয়েছেন। এই ৭৮ জনের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু ভয়ানক,৩৪ জনকে মেরে ফেলা হয়েছে,বাকি ৩০ জনের মৃত্যু কেমন করে হয়েছে তা এখনো অজানা।২০১৮ সালে সিপিজে(Committee to protect Journalist)সাংবাদিক হত্যায় দোষীদের শাস্তি না হওয়ার নিরিখে সবচেয়ে নিচের সারিতে থাকা বিশ্বের ১৫টি দেশের যে তালিকা করেছে তাতে ভারতের স্থান ১৪।গত ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ছত্রিশগড়ের দান্তেওয়ারায় মাওবাদীদের গুলিতে দু জন সিআরপিএফ জওয়ানের সাথে মৃত্যু হয় দুরদর্শনের ক্যামেরাম্যান অচ্যুতানন্দ সাহুর।অচ্যুতানন্দ সাহুর জীবনের অন্তিম রিপোর্টিং সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।তাতে দেখা যাচ্ছে মৃত্যুর অন্তিম মূহূর্তে একটু জলের জন্য কাতর আবেদন করেও মাওবাদীদের তরফে কোন সাড়া মেলেনি। মাওবাদীরা স্থানীয় ভাষায় সাংবাদিকদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যুর পর যারা পথে নেমে ছিলেন,আরবান নক...

সরস্বতী মানব সভ্যতার দেবী

সাধনকুমার পাল:: মানব সভ্যতার ইতিহাসে একমাত্র ভারতেই শিক্ষার উদ্দেশ্যর ব্যপকতা অতুলনীয়।এই উদ্দেশ্য প্রাপ্তির পথকে সুগম করার জন্য এই শিক্ষা প্রক্রিয়ার সাথে জুরে দেওয়া হয়েছে সরস্বতী পূজো ও বন্দনার মতো কিছু আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া। শিক্ষার এই উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া শুধু ভারতীয়দের কিংবা হিন্দুদের জন্য নয় , মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়া পৃথিবীর সবার জন্য। সরস্বতী শব্দের অর্থ এবং এই দেবীর পূজো ,বন্দনায় ব্যবহৃত মন্ত্রের অর্থ বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে কোন ধর্ম বর্ণ বা সম্প্রদায় নয় প্রজ্ঞার আলোকে আলোকিত ঋষিদের অনুভুত অধ্যাত্ম বিজ্ঞানের চরম সত্যের বহি:প্রকাশ ঘটেছে এই সমস্ত মন্ত্র ও লৌকিক ক্রিয়াকলাপে। সে জন্য শুধু হিন্দু শাস্ত্রেই নয়, জ্ঞান স্বরূপ বাগদেবীকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রূপে আরাধনা করা হয়। বিশেষত, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিদ্যার দেবী হিসাবে বন্দনা করা হয় মা সরস্বতীকে।একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে মা সরস্বতী কি কি রূপে পূজিত হন। মায়ানমার বা বার্মা: মায়ানমার বা বার্মায় জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী হিসাবে পূজিত হন দেবী সরস্বতী। তবে দেবী সরস্বতী এখানে থুরাথাডি নামে পরিচিতা। ...