সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বিশ্বকর্মা পুজোতেই রাষ্ট্রীয় শ্রমিক দিবস কেন?

সাধন কুমার পাল ::ভারতে শ্রম দিবস হিসাবে পালিত মে দিবস কি তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে? নতুন ভারত গড়ে তুলতে শ্রমিকদের অবদানকে সম্মান জানাতে ভারত কি আনুষ্ঠানিকভাবে '১ মে' পরিবর্তে 'বিশ্বকর্মা দিবস'  পালন করবে? এই ধরনের প্রশ্নগুলি এখন প্রতি বছর ১ মে ক্রমবর্ধমানভাবে উত্থাপিত হচ্ছে কারণ ভারতের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন, ভারতীয় মজদুর সংঘ (বিএমএস), ১ মে শ্রমিক দিবস হিসাবে উদযাপন করছে না। হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছে পয়লা মে নয় শ্রমিক দিবস পালন হবে বিশ্বকর্মা পূজোর দিন। অনেক রাজ্য সরকার সেই পথেই হাটছে। এর দুটো কারণ হতে পারে । এক) মে দিবস ঐতিহাসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই।অর্থাৎ বিশ্ব জুড়ে কমিউনিষ্টদের প্রভাব যতই কমছে ততই বেআব্রু হচ্ছে মে দিবসে ইতিহাসের নামে কমরেডদের সাজানো গল্প। ( এখানে পড়ুন:: মে দিবসের ঐতিহাসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ) দুই)'দুনিয়ার শ্রমিক এক হও' শ্লোগান প্রাসঙ্গিকতা হারানোর পর মে দিবস পালনের এক মাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন সেই সুদুর অতীতে ভারতের ট্রেড ইউনিয়নে গুলিতে কমিউনিস্টরা যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল একমাত্র সেই স...

পহেলা বৈশাখে বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বাকে হাইজ্যাক করার অপপ্রয়াস

সাধন কুমার পাল:::: বাংলা ভাষার আরবীকরণ থেকে শুরু করে, আকবরকে বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতার স্বীকৃতি দেওয়া, খন্ডিত পূর্ববঙ্গকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ, ‘হাজার বছরের বাঙালি’ তত্ত্ব, সনাতন ঐতিহ্য বর্জিত নতুন বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রণয়ন এই সবই বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বাকে হাইজ্যাক করার এক একটি মাইলফলক। এই প্রচেষ্টার সাফল্যের জোরেই আজ পশ্চিমবঙ্গে বাঙ্গালীদের বিশ্বাস করানোর প্রয়াস হচ্ছে আকবরই বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা।এক দশক আগেও কিন্তু এমনটা শোনা যেত না। ২০০৫-এ প্রকাশিত ‘দ্য আগুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান’ বইতে স্বয়ং অমর্ত্য সেন এই দাবীটি করেন। এরপর বিভিন্ন বক্তৃতায় তিনি এইটি বলতে শুরু করেন। ক্রমে এটি চালু হয়ে যায়। গুগুল কে প্রশ্ন করলেও উত্তর আসবে ‘বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা আকবর’।            আকবরপন্থীদের বক্তব্য , খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে আকবর তারিখ-ই-ইলাহী নামে একটি সৌর বর্ষপঞ্জী চালু করেন। কিন্তু তার ভিত্তিবর্ষ ছিল ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ, আকবরের শাসনকালের প্রথম বছর। অর্থাৎ তারিখ-ই-ইলাহী শুরুই হয় তার ২৯তম বর্ষ থেকে। ওদিকে ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ ছিল ৯৬৩ হিজরী। আকবরপন্থীদের মতে...

" হিন্দুত্ব" ভারতের সংবিধানের প্রাণ

                সংবিধানে শ্রীরামচন্দ্রের বনবাস যাত্রার ছবি                                            সাধন কুমার পাল : ভারতে প্রতি বছর 26 নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি " জাতীয় আইন দিবস " নামেও পরিচিত । 26 নভেম্বর 1949 তারিখে , গণপরিষদে   ভারতের সংবিধানে গৃহীত হয় এবং 26 জানুয়ারী 1950 সালে কার্যকর হয়। ভারত সরকার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে 19 নভেম্বর 2015 তারিখে 26 নভেম্বরকে সংবিধান দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। গত 11 অক্টোবর 2015 তারিখে মুম্বাইতে বি . আর . আম্বেদকরের স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি মেমোরিয়ালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘোষণা করেন । এর আগে এই দিনটি আইন দিবস হিসেবে পালিত হত। সংবিধানের গুরুত্ব এবং ড : আম্বেদকরের চিন্তা ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য 26 নভেম্বর দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত ' লোকমত ' ...

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক নিজেকে হিন্দু বলতে গর্ববোধ করেন

সাধন কুমার পাল::ইংরেজ ভারত ছাড়ার ৭৫ বছর হয়ে গেল। ৭৫ বছর পরেও এদেশে এমন মানুষদের পাওয়া যাবে যাদের কাছে স্বদেশের ঠাকুরের চেয়ে বিদেশের কুকুর অনেক বেশি মর্যদা সম্পন্ন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন ,এরা চেহারায় ভারতীয় হলেও মনন মানসিকতায় সাহেব। ঠিক যেমনটি মেকলে সাহেব তার প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে তৈরী করতে চেয়ে ছিলেন। শাসক ইংরেজেরা ইংরেজী শিক্ষার মাধ্যমে এদেশের গোমাতা-পূজক, প্রকৃতি-পূজক, হিন্দুদের হিন্দুত্বের মূল স্রোত থেকে সরিয়ে ইংরেজীআনার ধারক বাহক বানতে চেয়ে ছিল। মেকলে সাহেবরা এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেই দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়ে ছিল মেকলের ভারতীয় ভাবশিষ্যরা।হিন্দুত্ব সূচক যে কোন আচরণ বা চিহ্ন ওদের কাছে সংঙ্কীর্ণতা সাম্প্রদায়িকতা।             তৈরি হল ইতিহাস,এবারের (২০২২) দীপাবলিতে ব্রিটেন পেল প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী।পুরোহিত ডেকে হাতে লাল সুতে বেঁধে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ডুকলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। মন্ত্রী সভা গঠন করে আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভুত সুরেলা ব্রেভারম্যানকে নিয়োগ ...

বিজয়া দশমীর বার্তা:অস্ত্র ধরা প্রয়োজন, অহিংসার আদর্শ বাঁচিয়ে রাখতে

সাধনকুমার পাল :  শ্রীমদ্ভগবত গীতার সর্বশেষ শ্লোকটি হল  'यत्र योगेश्वरः कृष्णो यत्र पार्थो धनुर्धरः।   तत्र श्रीर्विजयो भूतिर्ध्रुवा नीतिर्मतिर्मम 'অর্থাৎ যেখানে যোগেশ্বর  কৃষ্ণ, যেখানে ধনুর্ধর অর্জুন থাকবেন সেখানেই সমৃদ্ধি, বিজয়, সুখ এবং দৃঢ় নীতি আছে; এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এই শ্লোক থেকে এটা স্পষ্ট যে  সুখ সমৃদ্ধিপূর্ণ পরিপূর্ণ ব্যবস্থার  জন্য জ্ঞান প্রজ্ঞা বুদ্ধিমত্তা উদ্যমের যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি দুষ্টের দমনের জন্য প্রয়োজন অস্ত্রের। অর্থাৎ শস্ত্র এবং শাস্ত্রের সহাবস্থান প্রয়োজন।  শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য নয় শান্তি স্থাপনের জন্য শস্র হবে শাস্ত্র নিয়ন্ত্রিত । সাম্প্রতিক ঘটনা বলির পরিপ্রেক্ষিতে ইজরায়েলের দিকে তাকালে আমারা শস্ত্র ও শাস্ত্রের সার্বিক ভারসাম্যের বিষয়টি বুঝতে পারবো। ইসরায়েল রাষ্ট্রের যখন প্রতিষ্ঠা হয় , তখন সেখানে জল এবং উর্বর ভূমির সংকট ছিল।কৃষি - ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে একটি হাই - টেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে ইসরায়েল। অত্যাধুনিক স...

আত্মঘাতি বাঙালির বিস্মৃতির অতলে ২০ জুন,পশ্চিমবঙ্গ দিবস

                      সাধন কুমার পাল        ২০শে জুন , পশ্চিমবঙ্গ দিবস। সেটা আবার কি ধরণের দিবস ? আমাদের অনেকেই জানি না , কারণ এই ইতিহাসটা পরিচিত ইতিহাসের মধ্যে পরে না । ১৯৪৭ সালের মার্চ মাস নাগাদ জিন্নার প্রবল ইচ্ছাশক্তি কাছে পরাজয় স্বীকার করে , মাউন্টব্যাটেনের কূটনীতি র জালে ফেঁসে ক্ষমতার লোভে  মোহগ্রস্থ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ ভারত ভাগ স্বীকার করে নিলেন। একবার ভেবে দেখলেন না , সীমান্তের ওপারে ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানে যে সব হিন্দু - শিখ - বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান তাদের কি হবে | সে সময় অবিভক্ত বাংলা ছিল ৫৫ % মুসলিম , ৪৫ % হিন্দু। মুসলিম লীগ দাবি তুলল যে গোটা বাংলাই পাকিস্তানকে দিতে হবে। এটা হলে আসামও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত এবং কালক্রমে সেটাও পাকিস্তানে চলে যেত। কিন্তু এই চক্রান্ত বিফল হল শুধু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের    জন্য। তিনি তাঁর বিশাল রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন ইসলামী পাকিস্তান হিন্দুদের জন্য ন...