সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন কি মমতার সেফটি ভাল্ব

                                    সাধন কুমার পাল ::: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন কি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জমে ওঠা ক্ষোভ হালকা করতে সেফটি ভাল্ব হিসাবে কাজ করছে? হ্যাঁ এমন কথা কিন্তু চিকিৎসক মহলের  মধ্য থেকেই উঠছে। অনেকেই প্রকাশ্যে আসছেন না । কিন্তু অনেকেই  নিজের  ঘনিষ্ঠ মহলে আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সংখ্যায় কম হলেও  চিকিৎসকরা কিন্তু  ক্রমশই প্রকাশ্যে এই আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যেমন উত্তরবঙ্গের দুইজন চিকিৎসক ডা: বিশ্ব প্রতিম রুদ্র ( ক্লিক করুন  ডাঃ বিশ্বপ্রতীম রুদ্রের পোস্ট ) ও বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডা: সন্দীপ সরকার তাদের ফেসবুক পেজে ( ক্লিক করুন  ডাঃ সরকারের পোষ্ট) এই আন্দোলন সম্পর্কে যে সমস্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তা থেকে এটা স্পষ্ট যে  অভয়ার বিচারের দাবি ও  স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর বেশ কিছু বিষয় নিয়ে  শুরু হলেও পরবর্তীকালে অত্যন্ত সূচতুরভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে বহাল তবিয়তে টিকি...

শ্রীরামের মতোই দেব সাজা, ধর্ষক বধের সংকল্পে হবে এবার দুর্গাপূজা

সাধন কুমার পাল উৎসব নয় এবার আমরা ধর্ষক ও প্রমাণ লোপাটকারীদের ধ্বংসের সংকল্প নিয়ে অকালবোধনে মেতে উঠবো। হ্যাঁ ,আমরা উৎসবে ফিরবো, তবে নির্ভয়ার বিচারের দাবি ভুলে গিয়ে নয়। আমরা এবার মাকে প্রশ্ন করব," আর কতকাল থাকবি বেটী মাটির ঢেলার মূর্তি আড়াল?  স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল।  -------------- মাদীগুলোর আদি দোষ ঐ অহিংসা বোল নাকি-নাকি খাঁড়ায় কেটে কর মা বিনাশ নপুংসকের প্রেমের ফাঁকি। ঢাল তরবার, আন মা সমর, অমর হবার মন্ত্র শেখা, মাদীগুলোয় কর মা পুরুষ, রক্ত দে মা রক্ত দেখা। তুই একা আয় পাগলী বেটী তাথৈ তাথৈ নৃত্য করে রক্ত-তৃষার ‘ময়-ভুখা-হু’র কাঁদন-কেতন কণ্বে ধরে।" এবার আমাদের প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে একটিই গান বাজবে, "মাগো ভাবনা কেন আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে লড়তে জানি তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি(২) আমরা হারবোনা,হারবোনা তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বনা(২) আমরা পাথর দিয়ে দূর্গ ঘাটি গড়তে জানি তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি আমরা অপমান সইবনা ভীরুর মত ঘরের কোণে রইবনা(২) আমরা আকাশ থেকে বজ্র ...

দেশটা কি তোর বাপ দাদার

  কথায় কথায় বাংলা ছাড় ,দেশটা কি তোর বাপ দাদার                                                   সাধন কুমার পাল গত ৫ আগস্ট, ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার অনুপস্থিতিতে, বাংলাদেশী সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ নেয়, এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হয়।শুরু হয়  বাংলাদেশী হিন্দুদের উপর আক্রমণ । দুর্ভাগ্যবশত এই ধরনের ঘটনা  বাংলাদেশের  হামেশাই ঘটে। তো এবারের হিন্দু বিরোধী বর্বরতার পালকে জুড়েছে নতুন বিষয়। হিন্দুরা নিজের যোগ্যতায় যেখানটাই কাজ করুক না কেন শিক্ষক অধ্যাপক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তাদের সবাইকে জামাতের ছাত্র সংগঠন জোর করে পদত্যাগ পত্র লিখিয়ে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দিচ্ছে। এই লেখা শেষ করা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য সহ ইতিমধ্যেই ৩০জনেরও বেশি উচ্চপদে কর্মরত হিন্দুকে জোর করে পদত্যাগ পত্র লিখিয়ে প্রতিষ্ঠা...

যন্ত্রণায় কাতর বাংলাদেশ

  পোষা কালসাপের সহস্র ছোবলে দেশান্তরি হাসিনা                 যন্ত্রণায় কাতর বাংলাদেশ                               সাধন কুমার পাল ২৬ আগষ্ট ২০২৪ সংখ্যায় লেখাটি প্রকাশিত  গত ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার কোচবিহার শহরে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিলেন সেখানকার নাগরিক সমাজ। সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছিল এই মিছিলে যোগদানের জন্য। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগে দেখা গেল সেই জমায়েত স্থান পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। মিছিলে যোগদানের উদ্দেশ্য নিয়ে যারা আসছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে ধরে নিয়ে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশিদের জন্য কোনোরকম বিক্ষোভ মিছিল  বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি করা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী সমাজ শীতঘুমে থাকলেও এই মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনেকেই। তাঁর মধ্যে একজন শিক্ষক সমূহ কর্মকার ফেসবুক পোস্টে লিখলেন, 'যাক, গ্রেপ্তার বরণ করে ফেসবুক পোস্টে লিখলেন,'যাক কিছুট...

চান্দামারী, বংশীহারির ধর্ষকদের সাত দিনের মধ্যে ফাঁসি হবে তো মাননীয়া ?

                                                     সাধন কুমার পাল  পথে নামার সুযোগই পাননি গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ও ওই কলেজের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ। আর জি কর মেডিকেল কলেজে  অনডিউটি তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় অপরাধীদের ফাঁসি চেয়ে পথে নামেননি এমন মানুষ বোধহয় পশ্চিমবঙ্গে কমই আছে। তবে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। একদিকে ১৫ আগষ্ট রাত্রিবেলা গুন্ডা পাঠিয়ে আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণের প্রমান লোপাটের ব্যবস্থা করছেন অন্যদিকে উনি বলছেন সাত দিনের মধ্যে ধর্ষককে ফাঁসি দিতে হবে এবং ওনার ভাইপো বোধ হয় ধর্ষককে দ্রুত শুট করে দেওয়ার কথা বলেছেন । এখানেই শেষ নয় উনি প্রকাশ্য সভায় চিৎকার করে বলছেন বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে উনি ধর্ষণ বিরোধী করা কঠোর আইন প্রণয়ন করবেন । দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করবেন যাতে কেন্দ্র সরকার কঠোর আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয়। সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ করার  জন্য যদি পুরস্কার দিতে ...

ঈশ্বর যা করে মঙ্গলের জন্য করে

  ১৯১২ সালের ১০এপ্রিল  সাউদাম্পটন  থেকে  নিউইয়র্কের      উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। সে সময় টাইটানিক নির্মাতাদের দাবী ছিল এই জাহাজ কখনোই ডুবে যাওয়া সম্ভব নয়। টাইটানিকের প্রথম যাত্রায় সফর করা ছিল স্বপ্নের মতো ব্যাপার। টাইটানিকের প্রথম যাত্রার জন্য টিকিট বুকিং চলছিল। একজন স্কটিশ কৃষক সে তার সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ওর পাঁচ ছেলেমেয়ে ও স্বামী স্ত্রী এই সাতজনের টিকিট বুক করে। এরপর এরপর অধীর আগ্রহে যাত্রা শুরুর অপেক্ষা করতে থাকে। টাইটানিকের যাত্রা শুরুর সাত দিন আগে ওদের পোষা কুকুর ওদের পাঁচজনের মধ্যে পাঁচ সন্তানের মধ্যে একজনকে কামড় দেয়। সেই কৃষকের স্ত্রী পরামর্শ দেয় যে সেই সন্তানের দেখাশোনার জন্য উনি টাইটানিকের সফর করবেন না। আরো পরামর্শ দেয় সেই চার সন্তান নিয়ে যেন কৃষক টাইটানিকের আনন্দ সফরে যায়।  এরপর কৃষক অনেক ভাবল শেষে সিদ্ধান্ত নিল যে এরকম অসুস্থ সন্তানকে ছেড়ে তিনিও টাইটানিক সফরে যাবেন না। অত্যন্ত মন খারাপ হলো কারণ সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে টিকিট কেটেছেন সেই টিকিটের পয়সা ফেরত পাওয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না। মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাব...

বিচার চায় শ্যামাপ্রসাদের অমর আত্মা, বিচার চায়!

                                                      সংসদে মেঘনাদ সাহার ভাষণ                        ( ১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩ ) শ্রী মেঘনাদ সাহা: বন্দীদশায় শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুকালীন ঘটনাবলীর পূর্ণ তদন্তের জন্য যে দাবী আমার মাননীয় বন্ধু শ্রীযুক্ত এন সি চ্যাটার্জি উপস্থাপিত করেছেন, আমি সর্বান্তঃকরণে সেই দাবীকে সমর্থন করছি। আমি দুই তরফের যুক্তি তর্ক শুনেছি। আমি এই দেখে খুবই মর্মাহত হলাম যে, আমার বিপরিত দিকে যে বন্ধুরা বসে রয়েছেন তাঁরা এই তদন্তের অত্যন্ত সরল ও সহজ দাবীর বিরোধিতা করেছেন। আমি আরও দুঃখিত হলাম এই দেখে যে শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু সম্বন্ধে সহস্র সহস্র কংগ্রেস সদস্যকে ব্যক্তিগত আলাপে যে অভিমত ব্যক্ত করতে শুনেছি, সে সম্বন্ধে সংসদে দাঁড়িয়ে উঠে তাঁদের কেউই কিছু খুলে বল্লেন না, মতামত প্রকাশ করার সব দায়িত্ব অর্পণ করলেন গৃহমন্ত্রী ডঃ কাটজুর উপর। ডঃ মুখার্জি যে শহর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন,...

ভারত নামটিতে এদেশের অন্তরের ছবি আঁকা রয়েছে

                                                       সাধন কুমার পাল:: ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত। সাম্প্রতিককালে ভারত সরকার কয়েকটি জায়গায় ইন্ডিয়া নামের বদলে ভারত নাম ব্যবহার করেছে। যেমন প্রেসিডেন্ট অফ ভারত, প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত ইত্যাদি। সরকার থেকে কখনোই বলা হয়নি যে দেশের নাম বদল হচ্ছে। ইন্ডিয়া এবং ভারত দুটোর মধ্যে যে কোন নাম যে কোনো সময় ব্যবহার করা সংবিধান সম্মত। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে এই ভারত নাম নিয়ে I.N.D.I.A জোটের সদস্যদের এত আপত্তি কেন?                বিগত 100 বছরে পৃথিবী জুড়ে অনেক দেশের নামই পরিবর্তন হয়েছে। যার মূলে রয়েছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ। কেউ ভাবমূর্তি পরিবর্তনের জন্য, কেউ আবার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পরিবর্তন করেছে দেশের নাম।  যেমন, দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার সীমান্তে রয়েছে টার্কি, যা প্রাচ্যে ‘তুরস্ক’ নামে পরিচিত।...